যে ৬টি লক্ষণ থাইরয়েড সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে

Any Akter
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:৫৭ অপরাহ্ন, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৬:০৪ অপরাহ্ন, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ব্যস্ত জীবন, কাজের চাপ, মানসিক ক্লান্তি ও পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব—এগুলো এখন অনেকের নিত্যদিনের সঙ্গী। কথায় কথায় রেগে যাওয়া, সারাক্ষণ অবসাদ লাগা বা অ্যালার্ম দিয়েও ঘুম থেকে উঠতে কষ্ট হওয়া—এসবকেই সাধারণ ক্লান্তি ভাবা হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, এগুলোর আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি, বিশেষ করে থাইরয়েডের সমস্যা।

সাম্প্রতিক সময়ে ডায়াবেটিসের মতোই থাইরয়েড–সংক্রান্ত রোগী দ্রুত বাড়ছে। শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ন্ত্রণকারী থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা অস্বাভাবিক হলে দেখা দিতে পারে হাইপোথাইরয়েডিজমসহ নানা জটিলতা। সমস্যা হলো—থাইরয়েডের প্রাথমিক লক্ষণগুলো অনেক সময়ই স্পষ্ট নয়, ফলে রোগী বুঝতেই পারেন না যে তিনি অসুস্থ হচ্ছেন।

আরও পড়ুন: জেনে নিন এক কাপ আদা পানি খাওয়ার উপকার কী?

বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরের ছোট-ছোট পরিবর্তনগুলোই হতে পারে সতর্কবার্তা। নিচের উপসর্গগুলো দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

থাইরয়েড সমস্যার গুরুত্বপূর্ণ ৬টি সতর্ক সংকেত

আরও পড়ুন: যে ছয় অভ্যাস অজান্তেই নষ্ট করে দিতে পারে সম্পর্ক

১. বিশ্রামের পরও ক্লান্তিভাব

প্রচুর ঘুমানোর পরও যদি ক্লান্ত লাগে কিংবা সামান্য পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে পড়েন—তাহলে এটি থাইরয়েডের সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।

২. হঠাৎ মেজাজ বদল

চাপের কারণে মেজাজ খারাপ হওয়া স্বাভাবিক। তবে কথায় কথায় রেগে যাওয়া, খিটখিটে হওয়া বা মানসিক অস্থিরতা কয়েক দিন ধরে চলতে থাকলে পরীক্ষা করানো উচিত।

৩. অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমা বা বাড়া

ডায়েট না করেও হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া—এটি থাইরয়েডের পাশাপাশি ডায়াবেটিসেরও লক্ষণ হতে পারে।

৪. অতিরিক্ত চুল পড়া

গোছা গোছা চুল পড়া ও ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া থাইরয়েড হরমোনের অসমতার কারণে হতে পারে।

৫. অনিয়মিত মাসিক

নারীদের অনিয়মিত ঋতুচক্র, এর সঙ্গে ওজন পরিবর্তন বা অতিরিক্ত চুল পড়া দেখা দিলে থাইরয়েড পরীক্ষা জরুরি।

৬. গলার স্বর বদলে যাওয়া ও তাপমাত্রা সংবেদনশীলতা

হঠাৎ স্বর ভাঙা, গলা ধরে যাওয়া বা সামান্য গরম–শীতেও অতিরিক্ত সংবেদনশীল হওয়া—এসবই হতে পারে থাইরয়েড সমস্যার লক্ষণ।

চিকিৎসকদের পরামর্শ—উপসর্গগুলোকে কখনোই অবহেলা করবেন না। প্রয়োজন হলে রক্ত পরীক্ষা করে থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা যাচাই করুন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে সুস্থ থাকা সম্ভব।