ইতিকাফ অবস্থায় আজান দেওয়া নিয়ে যা বললেন ইসলামী আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদেরা

ইতিকাফ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। রাসুল (সা.) মদিনায় হিজরত করে প্রতিবছরই ইতিকাফ করতেন। সিরাতের কিতাবে পাওয়া যায়— যেই বছর নবী (সা.) দুনিয়া থেকে বিদায় নেন, সে বছর তিনি ২০ দিন ইতিকাফ করেন। আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, ‘আল্লাহর নবী (সা.) প্রত্যেক রমজানে দশ দিন ইতিকাফ করতেন। সুতরাং যে বছর তার মৃত্যু হয়, সে বছর তিনি ২০দিন ইতিকাফ করেন।’ (বুখারি, হাদিস : ২০৪৪)
ইমাম যুহরি বলেন, ‘ইতিকাফের মতন গুরুত্বপূর্ণ আমলকে লোকদের ছেড়ে দেয়া দেখলে আমি অবাক করি, অথচ আল্লাহর রাসুল (সা.) মাঝেমধ্যে অন্যান্য আমল বাদ দিলেও, মদিনায় হিজরতের পর আজীবন মসজিদে নববিতে ইতিকাফ করেন।’
আরও পড়ুন: বছর পেরিয়ে গেলেও প্রকাশ করা হয়নি উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদের হিসাব
ইতিকাফের সময় করণীয় ও বর্জনীয় অনেক আমল আছে যেগুলো জেনে রাখা আবশ্যক। অনথ্যায় নিজের অজান্তেই ইতিকাফ ভেঙ্গে যেতে পারে। ইতিকাফ সম্পর্কিত একটি মাসআলা সম্পর্কে জানতে চেয়ে একজন প্রশ্ন করেছেন-
‘মসজিদের মুয়াজ্জিন ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদ-সংলগ্ন আজানঘরে গিয়ে আজান দিতে পারবে কি? আমি যে মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্বরত আছি, সে মসজিদে এ বছর রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতে চাইলে মসজিদ কমিটি বলে যে, আপনি ইতিকাফ করলে আজান দিবেন কীভাবে? আমাদের মসজিদের আজানঘর তো মসজিদের অন্তভুর্ক্ত নয়।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
এ প্রশ্নের উত্তরে ইসলামী আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদেরা বলেন, ইতিকাফ অবস্থায় আজান দেয়ার জন্য মসজিদের বাইরে যাওয়ার অনুমতি আছে। তাই ইতিকাফ অবস্থায় প্রয়োজনে মসজিদের বাইরে গিয়ে আপনি আজান দিতে পারবেন। এতে আপনার ইতিকাফ নষ্ট হবে না।
—কিতাবুল আছল ২/১৯১; আলমাবসূত, সারাখসী ৩/১২৬; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৬৯; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৮০; ফাতাওয়া ওয়ালওয়ালিজিয়্যাহ ১/২৪৪; আলবাহরুর রায়েক ২/৩০৩