মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

বাংলাবাজার পত্রিকা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:৩২ অপরাহ্ন, ০২ নভেম্বর ২০২৩ | আপডেট: ৭:৩২ পূর্বাহ্ন, ০২ নভেম্বর ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় ও সাগরে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপকূলের সাগর ও নদীতে ইলিশ ধরার ওপর গত ১২ অক্টোবর থেকে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) মধ্য রাত থেকেই শেষ হচ্ছে সেই নিষেধাজ্ঞা।

এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে।

আরও পড়ুন: যারা ধর্ম ও মুক্তিযুদ্ধকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে তাদের কাছে দেশ নিরাপদ নয় : সালাম আজাদ

জেলেরা জানান, নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে জেলেরা মাথাপিছু যে চাল বরাদ্দ পেয়েছে তা চাহিদার চেয়ে খুবই নগণ্য। তাদের দাবি চালের পরিমাণ যেন বাড়ানো হয় এবং প্রকৃত জেলেরা যেন চাল পায় তা সঠিক তদারকি করা প্রয়োজন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, সরকার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে উপহার স্বরূপ যে চাল দেয় সেটা নিয়ে জেলেদের খুশি থাকা উচিত। কারণ চাল না পেলেও তাদের চলতে হতো।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পাটভিত্তিক উৎপাদনে বড় বিনিয়োগে আগ্রহী চীন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে জেলেরা নৌকা মেরামত, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন আনুষঙ্গিক কাজ ইতোমধ্যে শেষ করেছেন। এখন শুধুই প্রহর গুনছে সাগরে কিংবা নদীতে নামার। তাদের আশা এখন থেকে আবার ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ নিয়ে ফিরবে আড়ৎতে।

নিষেধাজ্ঞার সময়ে ইলিশ শিকার করার দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকজন জেলেকে আটক করে নৌপুলিশ। আইন অমান্য করার তাদের বিভিন্ন ধরনের সাজা ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া পোড়ানো হয় কয়েক লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল।