মোহাম্মদপুরে ৯তলা থেকে পড়ে মারা গেল গৃহকর্মী

বাংলাবাজার পত্রিকা রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৩:০৩ অপরাহ্ন, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | আপডেট: ১১:০৮ পূর্বাহ্ন, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকার মোহাম্মদপুরে ৯তলা থেকে পড়ে এক গৃহকর্মী মারা গেছে। গৃহকর্মীর নাম প্রীতি (১৫)।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে শাহজাহান রোডের ২/৭ নম্বর বাড়ি থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মেয়েটি ওই বাড়ির ৯ তলায় গৃহকর্মীর কাজ করতো। 

আরও পড়ুন: নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে বিদায় নেবো: ধর্ম উপদেষ্টা

পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সেই গৃহকর্মীকে  উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রীসহ মোট ৬ জনকে থানা হাজতে রেখেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: বছর পেরিয়ে গেলেও প্রকাশ করা হয়নি উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদের হিসাব

যাদের আটক করা হয়েছে তারা হলেন- গৃহকর্তা সৈয়দ আশফাকুল হক, তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকার, তার মেয়ে আফরিন হক, ছেলে সৈয়দ আনাফ মাহমুদ, তার ভায়রা আল রাজি মাহবুব ও শ্যালিকা রাজিয়া খন্দকার।

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহফুজুল হক ভূঞা বলেন, সকাল সাড়ে আটটার দিকে প্রীতি নামে এক গৃহকর্মী নয়তলা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই বাসার গৃহকর্তা-গৃহকর্ত্রী, তার দুই সন্তান ও বেড়াতে আসা গৃহকর্তার দুই আত্মীয়কে আটক করা হয়েছে। নিহত ওই গৃহকর্মীর পরিবার মৌলভীবাজার থাকেন। তার বাবার নাম লোকেশ উড়ান। তাদেরকে খবর দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, গত বছরের ৬ আগস্ট একই গৃহকর্তার বাসা থেকে ফেরদৌসী নামে এক গৃহকর্মী রহস্যজনকভাবে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। দীর্ঘদিন সে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ছিল। এই ঘটনায় আহত গৃহকর্মীর মা জোসনা বেগম তিনজনের নাম উল্লেখ করে মোহাম্মদপুর থানা একটি মামলা দায়ের করেন। সে সময় ওই মামলার আসামি ছিলেন সৈয়দ আশফাকুল হক, তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকার ও আসমা আক্তার শিল্পী নামের আরেকজন।

ওসি মাহফুজুল হক বলেন, একটি জায়গা থেকে বারবার একই ধরনের ঘটনা ঘটছে, বিষয়টি আমাদের কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে। দুই বছর ধরে সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার শাশুড়ির বাসায় কাজ করা নিহত প্রীতির বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানার মিত্তিংগা গ্রামে।