আমুর লুটপাটের সহযোগী পিডি রুহুল আমিন বহাল তবিয়তে

বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৯:১৬ অপরাহ্ন, ২০ নভেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ৩:২৬ অপরাহ্ন, ২০ নভেম্বর ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুর লুটপাটের সহযোগী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) প্রকল্প পরিচালক মো. রুহুল আমিন এখনও বহাল তবিয়তে। ৫ আগষ্ট ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন হলে আমির হোসেন আমুকে নানা দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু তার দুর্নীতির অন্যতম সহযোগী ছিলেন তৎকালীন এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন। আমুর নির্দেশনায় নির্বাহী প্রকৌশলী উন্নয়ন কাজের কার্যাদেশ দিতেন। বিনিময়ে চলতো মোটা অংকের বিনিময়। 

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরে নিয়োগ পাওয়া পটুয়াখালীর সন্তান ১৯৯৫ সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন। তার বাড়ি পটুয়াখালী হলেও আমির হোসেন আমুর দাপট খাটিয়ে চাকরির শর্ত ভঙ্গ করে তিনি নিজ জেলায় চাকরি করেন। গোটা চাকরি জীবনের বেশির ভাগ সময় তিনি নিজ এলাকা বৃহত্তর বরিশালে চাকরি করেন। এলজিইডিতে একটি কথা প্রচলন আছে বরিশাল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া মানে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অর্জন করা। তার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। নানা অনিয়ম করে নামে বেনামে তিনি অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে জানা গেছে। ধানমণ্ডিসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে তার বাড়ি ও ফ্ল্যাট। বিগত ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তিনি এনএসডব্লিউএলইপি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ পান। এর আগেও তিনি একাধিক প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ফ্যাসিবাদ সরকারের পতনের পর এবং আমির হোসেন আমু গ্রেফতারের পর তিনি ভোল পাল্টে বিএনপি-জামায়াত ব্লকে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প পেতে  দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। সেজন্য তিনি প্রতিদিনই মন্ত্রণালয়ে তদবির করছেন বলে সূত্রে জানা গেছে। তার দুর্নীতি ও অনিয়মের বক্তব্য নিতে তাকে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আরও পড়ুন: একটি বিশেষ দল গণতান্ত্রিক চর্চাকে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে : ডা. রফিক