মাউশি ও নায়েম ডিজির নিয়োগ বাতিলের দাবি বৈষম্য বিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:০২ অপরাহ্ন, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | আপডেট: ৯:৪০ পূর্বাহ্ন, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক হিসেবে পটুয়াখালী সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক এহতেশাম উল হককে নিয়োগ দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে ‘বৈষম্য বিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম’। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটি।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) আওয়ামী স্বৈরাচারী দোসর পটুয়াখালী সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যাপক এহতেশাম উল হককে মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এহেতেসাম উল হক ছিলেন বরিশালের সাবেক মেয়র স্বৈরাচারী হাসিনার ভাতিজা সাদিক আব্দুল্লাহর খায়ের খা। সাদিক আব্দুল্লাহ-এতেশাম জুটি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম, লুটপাট, দুর্নীতি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ হেন কোন অপকর্ম নেই যা তারা করেননি। এই অপকর্মের কারণে ৫ আগস্টের পর ছাত্রদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে এহতেশামকে প্রত্যাহার করা হয়।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে একযোগে ২৯ কর্মকর্তার বদলি

এতে বলা হয়, অপরদিকে শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিবিটি) ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ ড. মো. জুলফিকার হায়দারকে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জুলফিকার ছিলেন সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনি’র একান্ত অনুগত। সে বাতিল হওয়া শিক্ষা কারিকুলামের অন্যতম কারিগর।

বিবৃতিতে বলা হয়, পত্রিকার খবরে আরও প্রকাশ ছাত্র সমন্বয়করা সিনিয়র শিক্ষা সচিবের সঙ্গে এসব বদলি বিষয়ে আলাপ করতে গেলে তিনি তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। আমরা বিতর্কিত দু’জন মহাপরিচালক নিয়োগের বিরুদ্ধে ছাত্র সমন্বয়কগদের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করছি। একই সঙ্গে শিক্ষা সচিবের অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং এসব অনিয়মতান্ত্রিক নিয়োগের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। অবিলম্বে আমরা এহতেশাম উল হক ও জুলফিকার হায়দারের নিয়োগ বাতিলের দাবি জানাই।

আরও পড়ুন: ১৫ আগস্ট ঘিরে আ. লীগ-ছাত্রলীগকে সড়কে নামতে দেওয়া হবে না: ডিএমপি কমিশনার

এছাড়া বলা হয়, কে বা কাদের প্ররোচনায় কঠোর গোপনীয়তায় আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসর, দুর্নীতিবাজ ও বিজাতীয় সংস্কৃতির বাহক এ দু’জন বিতর্কিত ব্যক্তিকে শিক্ষা সচিব সিদ্দিক যোবায়ের মহাপরিচালক হিসেবে শিক্ষা বিভাগের সর্বোচ্চ পদে পদায়ন করেছেন তা প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।