‘গত ১৬ বছরের শাসনামল দুর্নীতি আর অপশাসনের’

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৪:৩৮ অপরাহ্ন, ১০ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ৩:২৪ অপরাহ্ন, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, শেখ হাসিনা দুঃশাসন টিকিয়ে রাখতে গিয়ে অবাধে দুর্নীতির সুযোগ দিয়েছেন। যাদের দিয়ে দুঃশাসন টিকিয়ে রাখা যায় তাদের এই সুযোগ দেওয়া হয়। অর্থাৎ গত ১৬ বছরে আমাদের সময়টা ছিল দুর্নীতি আর অপশাসনের।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থেকে শুরু করে সেনাপ্রধান আর র‌্যাব প্রধান বলেন সবার বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ। আর তারা কী পরিমাণ দুর্নীতি করেছে তা দেশের মানুষ দেখেছে। পত্রিকায় দেখেছি- বালিশকাণ্ড থেকে শুরু করে বঁটি কেনা নিয়ে দুর্নীতি এমনকি কেজি দরে ঘুষ নেওয়ার খবর আমরা গণমাধ্যমে জেনেছি।

আরও পড়ুন: চাঁদাবাজদের ঠাঁই হবে না বাংলাদেশে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম সংকলিত ও সম্পাদিত দুটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান হয়। বই দুইটি হলো ‘লিভিং লিজেন্ড-তারেক রহমান : নেতা ও নেতৃত্ব-লুক থ্রু’ এবং ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দুর্নীতি ও দুঃশাসন’। যা প্রকাশ করেছে শোভা প্রকাশনী। বই দুটিকে আওয়ামী দুঃশাসনের দলিল হিসেবে আখ্যা দেন প্রধান অতিথি।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. ওয়াকিল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।

আরও পড়ুন: ‘সংসদ নির্বাচন নিয়ে যারা শঙ্কা প্রকাশ করেছে তারা গণতন্ত্রের শত্রু’

নজরুল ইসলাম খান বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে সম্মুখে থেকে লড়াই করেছিলেন। তিনি স্বাধীনতা সুসংহত করতে জীবন বাজি রেখে ৭ নভেম্বর দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তারই যোগ্য উত্তরসূরি তারেক রহমান দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে স্লোগান দিয়েছিলেন- ‘হটাও মাফিয়া বাঁচাও দেশ, জনগণের বাংলাদেশ’। শহিদ জিয়া যখন ’৭৫ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেন সেসময় কোনো দল, সরকার ছিল না। মাত্র একদিন বয়সী একজন রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বলে কিছুই ছিল না। এমনকি সেনানিবাসেও মানুষ খুন করা হয়েছে। সেসময়ে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত সাহসী মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। পরে খালেদা জিয়া দায়িত্ব নিয়ে দেশকে এমার্জিং টাইগারে পরিণত করেছিলেন।

তিনি বলেন, আজকে বিগত সরকার দেশে দুর্নীতি, লুট ও অর্থ পাচারের মাধ্যমে শেষ করে দিয়েছে। যার মাশুল দিচ্ছে দেশের মানুষ। কেননা, ২০ হাজার কোটি টাকার সেতু ৩০ হাজার কোটি টাকায় করা হয়েছে।

বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, ক্ষমতার পরিবর্তন মানে শুধু রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিবর্তন নয়। এর মানে হলো- রাষ্ট্র, রাজনীতি ও জনগণের গুণগত পরিবর্তন। তা না হলে জ্ঞানভিত্তিক ও উন্নত সমাজ প্রতিষ্ঠা সহজ নয়। যারা বলেন যে, শুধু ক্ষমতার পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন হয়নি। সেটি ভুল। এর জন্য আইন এবং প্রয়োজনে সংবিধানও পরিবর্তন করতে হয়।

২০০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতা ছেড়ে দিলে সেসময় বিএনপিকে ভাঙন হয়েছিল ঠিক। কিন্তু জিয়াউর রহমানকে সামনে রেখেই খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি এখন আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে বলে মন্তব্য করেন নজরুল ইসলাম খান।