বিশ্ব বাঘ দিবসে সংকুচিত বন, নিঃস্ব মানুষ, হুমকির মুখে রয়েল বেঙ্গল টাইগার

Sanchoy Biswas
সৈয়দ আব্দুস সালাম পান্না, সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ১১:৫০ অপরাহ্ন, ২৯ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ৩:২৪ অপরাহ্ন, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

২৯ জুলাই প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় বাঘ দিবস। বিলুপ্তির মুখে থাকা রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও অন্যান্য প্রজাতির বাঘ সংরক্ষণের প্রতি সচেতনতা তৈরি করাই এ দিবসের লক্ষ্য।

কিন্তু এদিনে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের দিকে তাকালে চোখে পড়ে এক ভিন্ন বাস্তবতা।

আরও পড়ুন: সরকারি কর্মচারীদের বেতন সমন্বয়ে জাতীয় বেতন কমিশনের প্রথম সভা আজ

কাগজে-কলমে বাঘ রক্ষার নানা উদ্যোগ চললেও বাস্তবে শিকার, পাচার, বন উজাড়, জলবায়ু পরিবর্তন ও মানুষের সঙ্গে সংঘাতে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে বাঘ। আর সেই সঙ্গে নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন উপকূলঘেঁষা জনপদের বহু মানুষ বিশেষ করে যাঁরা পরিচিত ‘বাঘ-বিধবা’ নামে।

সুন্দরবনের সংকট এখন শুধু একটি প্রাণীর অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্ন নয়, এটি একটি মানবিক ও সামাজিক সংকট।

আরও পড়ুন: সেনাবাহিনী প্রধানের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই: আইএসপিআর

পাচার ও হত্যার ভয়াবহ পরিসংখ্যান: বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০০১ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সুন্দরবনে অন্তত ৫২টি বাঘ মারা গেছে। পূর্ব সুন্দরবনে ২২টি ও পশ্চিম সুন্দরবনে ১৬টি বাঘের মৃত্যুর খবর নথিভুক্ত হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় ১০টি বাঘ দুর্বৃত্তদের হাতে মারা যায়, ৫টি গণপিটুনিতে, ৬টি বার্ধক্য ও প্রাকৃতিক কারণে, এবং ১টি ঝড়ে। পশ্চিম সুন্দরবনের ১৬টির মধ্যে ৯টি গণপিটুনিতে ও ৭টি বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছে।

পাচার চক্র বাঘ বিলুপ্তির অন্ধকার হাত: সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার আজ আর শুধু বনদস্যুর হাতে নয় পাচারের এক আন্তর্জাতিক চক্রের ছায়ায়ও নিঃশেষ হওয়ার পথে। বনদস্যু, মধ্যস্বত্বভোগী, স্থানীয় দরিদ্র মানুষ এবং বিদেশি পাচারকারীরা একজোট হয়ে গড়ে তুলেছে কোটি কোটি টাকার অবৈধ বাণিজ্যের জাল। চামড়া, হাড়, দাঁত, নখ বাঘের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পরিণত হয়েছে পণ্যে।

পাচারের রুট বয়ে যায় নদীপথে, সীমান্তবর্তী গোপন গুদামে, কনটেইনারে লুকানো ছোট প্যাকেটে। একেকটি চালান সুন্দরবন থেকে পেরিয়ে যায় দেশের সীমানা চাহিদার কেন্দ্রে চীন, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো।

এই পাচারে সহযোগিতা করছে স্থানীয় দরিদ্র মানুষ অর্থের প্রয়োজন, জীবিকার টান, প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে তারাই হয়ে উঠছে সহযোদ্ধা। তাদের ঘাড়ে ভর করেই চক্রটি দিনে দিনে আরও নিপুণ ও র্দুর্ধষ হচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বন বিভাগ নিয়মিত অভিযান চালালেও পাচারের পথ পুরোপুরি রুদ্ধ হয়নি। কারণ চক্রটি প্রতিনিয়ত কৌশল পাল্টায়, গোয়েন্দা তৎপরতা ফাঁকি দিয়ে চলে যায় আরও গভীরে।

২০২১ সালে শ্যামনগরে ধরা পড়া এক পাচারকারী তদন্তে জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা বাঘের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ চীন, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডে পাচার করে আসছিলেন। গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এসেছে এই চক্রে জড়িত শুধু আন্তর্জাতিক অপরাধী নয়, আছে বনদস্যু, স্থানীয় মধ্যস্বত্বভোগী এবং প্রান্তিক মানুষেরাও।

গবেষণা বলছে বন কমছে, সংঘাত বাড়ছে সুন্দরবনের বনাঞ্চল সংকুচিত হওয়ায় বাঘের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিটি বাঘ গড়ে ১৪ থেকে ১৬ কিলোমিটার এলাকা নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখে। কিন্তু এখন বন কমে আসায় তারা খাদ্যের সন্ধানে মানুষের বসতিতে ঢুকে পড়ছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৯০ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে সাতক্ষীরা উপকূলে বন্যপ্রাণীর আক্রমণে ১৭২ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যার মধ্যে ১৬৮ জনই বাঘের আক্রমণের শিকার। আক্রমণের বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটেছে সকাল ৭টা থেকে ১২টার মধ্যে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মধু সংগ্রাহক (৬০%), কাঠ সংগ্রাহক (২২%) ও জেলেরা (১৮%)।

নিজ গবেষণা প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক জান্নাতুল ফেরদৌসী বলেন, সুন্দরবনের সংকোচন ও খাদ্যাভাব বাঘকে মানুষের বসতিতে প্রবেশ করতে বাধ্য করছে। অন্যদিকে মানুষের জীবিকার জন্য বনে প্রবেশও বেড়েছে। ফলে সংঘাত দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।’

সংরক্ষণ মানে শুধু ক্যামেরা ফাঁদ নয় সতর্ক করছেন গবেষক

২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সুন্দরবনের পশ্চিমাঞ্চলে বাঘ ও বনজীবী মানুষের সহাবস্থানের ওপর গবেষণা করেছেন জান্নাতুল ফেরদৌসী। তাঁর মাঠপর্যায়ের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে বাঘের চলাচলের পথ সংকুচিত হয়েছে, খাদ্যাভ্যাস বদলেছে, এবং বনের ওপর মানুষের নির্ভরতা বেড়েছে। এই দুই পক্ষের টানাপড়েন ক্রমেই রক্তক্ষয়ী হয়ে উঠছে।

তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই আমরা বাঘ রক্ষার নামে শুধু প্রযুক্তিনির্ভর কৌশল নিচ্ছি জিপিএস কলার, ক্যামেরা ফাঁদ, বা ড্রোন নজরদারি। কিন্তু স্থানীয় মানুষদের আস্থা অর্জন, বিকল্প জীবিকা তৈরি, এবং সংঘাত পরবর্তী মানসিক ও সামাজিক পুনর্বাসন কার্যক্রম প্রায় নেই বললেই চলে। এই অবহেলা এক সময় পুরো সংরক্ষণ উদ্যোগকেই প্রশ্নের মুখে ফেলবে।

সুন্দরবনের প্রত্নস্থল ও বন্যপ্রাণী গবেষক ইসমে আজম ঋজু বলেন, গহিন সুন্দরবনে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি লবণাক্ততা বাড়ছে, নদী ভাঙছে, গাছ মরে যাচ্ছে, খাদ্য কমছে। এই বাস্তবতায় বাঘ মানুষের দিকেই এগোচ্ছে। পাচার বন্ধ না হলে, বন পুনরুদ্ধার না হলে এবং মানুষের জীবিকার বিকল্প না থাকলে বাঘ রক্ষা সম্ভব নয়।

বাঘ-বিধবা জীবিত থেকেও নিঃস্ব: বাঘ শুধু বনে মানুষ খায়নি, মানুষের জীবন থেকেও কেড়ে নিয়েছে স্বজন, আশ্রয়, সমাজ। সাতক্ষীরা শ্যামনগরের গাবুরা, মুন্সিগঞ্জ, বুড়িগোয়ালিনী ও রমজাননগরের শতশত নারী রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আক্রমণে স্বামী হারিয়েছেন। অনেকের স্বামীর লাশ পাওয়া যায়নি, কেউ আবার ফিরে এসে ঘরে ঠাঁই পায়নি। বদলে তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয় কুৎসিত অপবাদ অপয়া, অলক্ষ্মী’, ডাইনি।

মুন্সিগঞ্জের সোনামণি দাশী ১৯৯৯ সালে তার স্বামী বাঘের আক্রমণে মারা যাওয়ার পর শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে দেবরকে বিয়ে করলেও, তিনি ২০০৯ সালে বাঘের আক্রমণে প্রাণ হারান। এখন সোনামণি দোকানে ছোটখাটো কাজে সাহায্য করে সামান্য চাল ডাল জোগাড় করেন। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ২০০২ সালের আগে যারা মারা গেছে, শুধু তাদেরই সাহায্য পাবার কথা থাকলেও, তিনি আবেদন করেও কিছু পাননি। তার জীবন এখন মৃত্যুর মতো, স্বামী বাঘের পেটে গেল, আমাকেও রেখে গেল মরার মতো।

গাবুরার বুলি দাশীও ২০০২ সালে স্বামী বাঘের শিকার হওয়ার পর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। নদীতে রেণু ধরেই সন্তানদের লালন পালন করেছেন। তার স্বামীর ছোট ভাইও পরে বাঘের আক্রমণে মারা যান।

স্বরবানু খাতুনের স্বামী মারা যাওয়ার পর শ্বশুরবাড়ি ও বাপের বাড়ি দু’জায়গাই তাকে ঠাঁই দেয়নি। সন্তানদের নিয়ে তিনি পথেঘাটে জীবন কাটাচ্ছেন। তার প্রশ্ন, সরকার কি তাদের চোখে দেখে?

শ্যামনগরের একেক গ্রামে এমন অনেক বাঘ বিধবার গল্প পাওয়া যায়, যেখানে শোক, দারিদ্র্য, অপবাদ ও সরকারি উদাসীনতার ছায়া ঝরে পড়ে। এই নারীরা শুধু স্বামী হারাননি, হারিয়েছেন সামাজিক মর্যাদা, আশ্রয় এবং জীবনের আশা।

হারিয়ে যাওয়া মানুষ, নেই সরকারি খাতায় বেসরকারি সংস্থা লিডার্স এর তথ্য অনুযায়ী উপকূল এলাকায় অন্তত ১১৬৩ জন বাঘ বিধবা’ নারী রয়েছেন। তবে সরকারি তালিকায় আছে মাত্র ৫ জন।

বাঘ বিধবাদের অধিকার ও জীবনের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন পীযূষ বাওয়ালিয়া পিন্টু। তিনি জানান, আগে আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ ছিল ৫০ হাজার টাকা এবং নিহতদের জন্য এক লাখ টাকা। সম্প্রতি তা বাড়িয়ে করা হয়েছে তিন লাখ টাকা, আর আহতদের জন্য এক লাখ টাকা।

তবে যাঁরা সরকারি পাস না নিয়ে বা অন্য কারো নামে বন এলাকায় যান, তাঁরা এই ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাদের প্রতি সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ভীষণ কষ্টের।

তিনি আরও বলেন, ‘অনেক সময়ই বাঘ বিধবাদের আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা না থাকায় তাঁরা অতিরিক্ত দুর্দশায় পড়েন। সরকারি সহায়তা সীমিত হওয়ায় জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়ে। আমাদের দাবি, বাঘ বিধবাদের জন্য পৃথক ও স্বচ্ছ প্রকল্প গ্রহণ করা হোক যাতে তারা জীবনের শেষ দিনগুলো শান্তিতে কাটাতে পারেন।’

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের সহকারী বন কর্মকর্তা এবিএম হাবিবুল ইসলাম জানান, বন্যপ্রাণী দ্বারা আক্রান্ত বিধিমালা ২০২১ অনুযায়ী, শুধু বৈধ পাসধারীরা ক্ষতিপূরণ পান।

সংরক্ষণ প্রকল্প ও সংশয় রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে রক্ষায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে একাধিক উদ্যোগ চলমান। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: জিপিএস কলার ও ক্যামেরা ফাঁদের মাধ্যমে বাঘের চলাচল পর্যবেক্ষণ, পাচার রোধে বিশেষ অভিযান, বননির্ভর জনগণের জন্য বিকল্প জীবিকা কর্মসূচি, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ম্যানগ্রোভ বন পুনর্বাসন, এবং আন্তর্জাতিক গবেষণা ও সহায়তার সংযুক্তি।

এসব প্রকল্পের মাধ্যমে বাঘ রক্ষায় একটি কাঠামোগত চিত্র তৈরি হলেও, তাতে রয়েছে বাস্তবতার নানা ফাঁকফোকর। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন পাচার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা এবং স্থানীয় জনগণকে প্রকৃত অর্থে অংশীজন হিসেবে যুক্ত না করলে, এ উদ্যোগগুলো কেবল নথিপত্রেই সফলতা দেখাবে।

তাঁদের মতে, যাদের জীবন জীবিকা সুন্দরবনের ওপর নির্ভর করে, তাদের আস্থা ও অংশগ্রহণ ছাড়া বাঘ রক্ষা কৌশল শুধু ‘প্রকল্প’ হয়ে থাকবে স্থায়ী সমাধান নয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুন্দরবনের বাঘ রক্ষায় শুধুমাত্র বনের নিরাপত্তা বা প্রযুক্তিনির্ভর পর্যবেক্ষণই যথেষ্ট নয়। স্থানীয় মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি, তাদের জীবনের সঙ্গে বাঘ সংরক্ষণের বাস্তব সম্পর্ক বোঝানো এবং বিকল্প জীবিকা নিশ্চিত করাই সফল সংরক্ষণের মূল চাবিকাঠি। বনভুক্ত অঞ্চলে বসবাসকারী জনগণ যদি বাঘকে শত্রু না ভাবতে শিখে, তাহলে সংঘাত কমবে এবং বাঘের আবাসস্থল রক্ষা পাওয়া সহজ হবে। পাশাপাশি, বনের ওপর তাদের অতিরিক্ত নির্ভরতা কমিয়ে বিকল্প আয় রুট তৈরি করা গেলে বন সংরক্ষণ আরও শক্তিশালী হবে। বাঘ হত্যার দ্রুত বিচার ও পাচারকারীদের কঠোর শাস্তি না হলে সংরক্ষণ কার্যক্রম সার্থক হবে না। অর্থাৎ, বন ও প্রাণীর সুরক্ষা এবং মানুষের কল্যাণ এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য রেখে স্থানীয়দের অংশগ্রহণ ও বিকল্প জীবিকা নিশ্চিত করাই বাঘ সংরক্ষণের দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই সমাধান।

তবে সুন্দরবনের বাঘের সঙ্গে সংঘাতের ভয়াবহ মানবিক পরিণতিও রয়েছে। বাঘ বিধবা নামে পরিচিত নারীরা তাদের স্বামী হারানোর পর সামাজিক, অর্থনৈতিক ও মানসিক নানা সমস্যায় জর্জরিত। অনেকের বিরুদ্ধে হয় অপয়া, ‘অলক্ষ্মী কিংবা ‘ডাইনি মত কুপ্রভাব, যা তাদের জীবনের ওপর অতিরিক্ত বোঝা চাপায়। সরকারি সহায়তা অত্যন্ত সীমিত, আর অনেকেই এই ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই বাঘ সংরক্ষণের পাশাপাশি এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য স্বচ্ছ ও পূর্ণাঙ্গ সহায়তা প্রকল্প তৈরি করা জরুরি, যাতে তারা সামাজিক মর্যাদা ও জীবনের স্বাভাবিক অধিকার ফিরে পেতে পারেন। বাঘ ও মানুষের সহাবস্থানই হবে প্রকৃত সংরক্ষণের ভিত্তি।