দুদকের সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি, আইনি ব্যবস্থা নেয়নি
দুদক ও গোয়েন্দা সংস্থার নাম ভাঙিয়ে মাহদীর প্রতারণা বাণিজ্য

অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য চাকরিচ্যুত এক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদক ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা, জালিয়াতি সহ চাঁদাবাজির গুরুতর অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। দুদক তার বিরুদ্ধে সতর্কীকরণ বিবৃতি প্রদান করলেও তার বিরুদ্ধে এখনো আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে না। শেখ আবু মাহদী নামে ওই ব্যক্তি এখনো প্রভাবশালীদের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা করে যাচ্ছে। তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানিয়েছে প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীরা।
শেখ মাহদী কখনো দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ‘কনসালট্যান্ট’, কখনো আবার পরিচয় দেন এনএসআই-এর কর্মকর্তা। আবার পরিচয় দেন ডিজিএফআই অথবা ডিবির কর্মকর্তা হিসেবে। শেখ আবু মাহদী এক সময় ছিলেন মেজর পদমর্যাদার কর্মকর্তা। বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রমাণিত হওয়ায় সেনাবাহিনী থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয় ২০১৪ সালে। সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কারের পরেও তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ কমেনি। বিশেষ করে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে নিজেকে বঞ্চিত দাবি করে বিভিন্ন সরকারি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বিশেষ কর্মকর্তার পরিচয়ে চাঁদাবাজি শুরু করেছে। তার বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ খাতে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তথ্য চাওয়া, দুদকের ‘কনসালট্যান্ট’ পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি ও কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে তাকে হুমকি ও নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনী প্রধানের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই: আইএসপিআর
এই প্রতারক মাহদীর বিরুদ্ধে অবশেষে আদালতে মামলা করেছেন শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী নামে এক ব্যবসায়ী। মামলায় তিনি মাহদীর বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকা চাঁদাবাজি, হয়রানি ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ এনেছেন। এজাহারে শাহরিয়ার আহমেদ উল্লেখ করেন, ‘গত বছরের ১৪ আগস্ট জনৈক গিয়াস উদ্দিন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরির জন্য তার কাছে তথ্য চান। গিয়াস বাদীকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মেট্রো লাউঞ্জ রেস্টুরেন্টে ডাকেন। সেখানে যাওয়ার পর গিয়াসের সঙ্গে অজ্ঞাত তিনজন ব্যক্তি আসেন, যারা নিজেদের এনএসআই সদস্য পরিচয় দেন। এনএসআই সদস্য পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিরা বাদীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌথ বাহিনী কর্তৃক গুম করার হুমকি দেন। বাদীকে বাঁচতে হলে মামলার ২ নম্বর আসামি আবু মাহদীকে ২ কোটি টাকা দিতে হবে বলে জানান। অন্যথায় দুদকসহ বিভিন্ন স্থানে মামলা দেওয়াসহ নানাভাবে হয়রানি করাসহ গুম ও অপহরণ করাসহ বিভিন্ন হুমকি দেন। বাদী ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় ‘২ কোটি টাকা দেবেন’ বলে প্রাণে বেঁচে ফিরেন। পরদিন আসামি গিয়াস ধানমন্ডির জেমকন টাওয়ারে অবস্থিত একটি কপি শপে যেতে বলেন। সেখানে আসামিদের পক্ষে ২০ লাখ টাকা নগদে নেন। বাকি টাকা আস্তে আস্তে দেবেন বলে জানান। ওই ঘটনার দুদিন পর বাদী শাহরিয়ারের কাছ থেকে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার চেক দাবি করেন। ওইদিন সন্ধ্যায় নানান ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে জনতা ব্যাংক ফার্মগেট করপোরেট শাখার চারটি চেকের মাধ্যমে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা লিখে নেন। গিয়াস, মাহদী ও আমান নামে তিন ব্যক্তি চেক নেওয়ার পর সেটা নগদায়ন করার জন্য নানাভাবে চাপ দিতে থাকেন। বাদী পরবর্তী সময়ে আদালতে মামলা করেন।’ এ ছাড়াও শাহরিয়ার চৌধুরীর কাছ থেকে জোরপূর্বক চেক নেওয়ার অভিযোগে মোহাম্মদপুর থানায় একটি জিডি করেছেন।
মাহাদী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে জুলস পাওয়ার লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিককে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও ৩ কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা জানান, জুলস পাওয়ার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় সৌরবিদ্যুৎ প্লান্টের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কাজ করে। গত ৩ মার্চ শেখ আবু মাহাদী মোবাইল ফোনে তাদের টেকনাফ অফিসের ল্যান্ড কো-অর্ডিনেটর হেলালকে ফোন করে হুমকি দেন এবং হাত-পা ভেঙে পঙ্গু করে দেওয়ার কথা বলেন। এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর একই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নাহিদুজ্জামানকে ফোন করে তার চাহিদামাফিক টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে দুদকে মামলা দেওয়া, পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা ও কোম্পানি চেয়ারম্যান মাহবুব আলমকে হত্যার হুমকি দেন।’ জুলস পাওয়ারের কর্মকর্তারা জানান, মাহাদী তাদের কাছে ৩ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির তদন্তে সাবেক গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরদের ব্যাংক হিসাব তলব
মাহাদী বিদ্যুৎ খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে তথ্য চেয়ে হোয়াটসঅ্যাপ ও মোবাইলে খুদেবার্তা দিয়েছেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমি ১৬ বছর ধরে বিদ্যুৎ খাতের অপরাধ ও দুর্নীতি নিয়ে কাজ করি। আমাকে আমার প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন। মাই কন্টাক্ট: মেজ. মাহাদী (অব.)।’ এভাবে বিদ্যুৎ খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে খুদেবার্তা পাঠিয়ে তথ্য চান মাহাদী। পরে ওইসব ব্যক্তির কাছে চাঁদা চাওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, “মেজর মাহদী পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি বিভিন্ন সময়ে বিদ্যুৎ ভবনে যান। তিনি নিজেকে দুদকের ‘কনসালট্যান্ট’ পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন তথ্য ও অর্থ দাবি করেন।” এ ছাড়া দুদকের জ্যাকেট পরা কয়েক ব্যক্তির সঙ্গে তিনি কয়েক দফায় অভিযানে আসেন। ওই ব্যক্তিরা প্রকৃত পক্ষেই দুদকের লোক কি না, সেটা নিশ্চিত হতে পারেননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। শেখ আবু মাহাদী সম্পর্কে জানা গেছে, ‘তিনি একসময় সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। তিনি ৩৭তম লং কোর্সে কমিশন পান। মেজর পদে থাকা অবস্থায় জমি দখলসহ নানা অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।’
দুদকের একজন পরিচালক জানান, ‘দুদকে কনসালট্যান্ট নামে কোনো পদ নেই। দুদক এভাবে কাউকে নিয়োগ দেয় না। যদি কেউ দুদকে নিয়োগ পান, তাহলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তার নিয়োগপত্র দিতে হবে; কিন্তু দুদক বা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ ধরনের পদে কাউকে নিয়োগ দেয়নি।’ কমিশনের একজন মহাপরিচালক জানান, “অবসরপ্রাপ্ত মেজর মাহাদী কমিশনের কথিত ‘কনসালট্যান্ট’ পরিচয় দেওয়া ও বিভিন্ন জনের কাছে তথ্য চাওয়ার বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। কিন্তু কমিশন এ ধরনের পদে কাউকে নিয়োগ দেয়নি। মাহাদীর বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।”
সম্প্রতি শেখ আবু মাহদির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা ও মোহাম্মদপুর থানায় জিডি করেছেন ভূক্তভোগী দুই জন।
এদিকে দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে-কিছু ব্যক্তি বিভিন্ন জায়গায় দুদকের উপদেষ্টা, কনসালটেন্ট, পরামর্শক, সহযোগী কিংবা সহকারী পরিচয় দিচ্ছেন। এতে দুদকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। দুদকের নিয়োগ করা কোনও উপদেষ্টা, কনসালটেন্ট, পরামর্শক, সহযোগী বা সহকারী নেই। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন শেখ আবু মাহদী সহ প্রতারকদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞপ্তি জারি করলেও আইনি ব্যবস্থা নেয়নি। ওলে এখনো সে দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নাম ভাঙ্গে প্রতারণা করে যাচ্ছে।
অভিযোগের তদন্তে আদালতে দেওয়া অভিযোগপত্রে জানা যায় (এনএসআই) ছদ্মবেশ ধারণের মাধ্যমে ভীতিপ্রদর্শন ও প্রতারণা করা শেখ আবু মেহেদী, সরদার আমান উল্লাহ ও গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১০৯, ১৭০, ৩৮৭, ৪২০ ও ৫০৬ ধারার অভিযোগ আনা হয় তদন্ত প্রতিবেদনে। সংশ্লিষ্ট ধারার অপরাধ আমলে নিয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে প্রতিবেদনটি দাখিল করেন ডিবির তেজগাঁও জোনের সংঘবদ্ধ অপরাধ, গাড়ি চুরি-উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিমের ইনস্পেক্টর মাজহারুল ইসলাম। গত ২৯ জুলাই দাখিল করা প্রতিবেদনে পৃথক মোট সাতজনের ১৬১ ধারায় সাক্ষ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে শাওন সাহা নামে একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা শেখ আবু মেহেদীর পক্ষে প্রকৌশলী শাহরিয়ারের কাছ থেকে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে লিখিত জবানবন্দি দিয়েছেন। ডিবি পুলিশের কাছে লিখিত জবানবন্দিতে শাওন সাহা বলেন, অভিযুক্ত সাবেক সেনা কর্মকর্তা শেখ আবু মেহেদীর ট্যাক্স ফাইল নিয়ে তিনি কাজ করেন।
পাশাপাশি মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ায় অবস্থিত সাইকা শান্তা অ্যাসোসিয়েশনে হিসাবরক্ষক পদে কর্মরত তিনি। গত বছরের ১৯ আগস্ট সন্ধ্যায় শেখ আবু মেহেদী তাকে গিয়াস উদ্দিনের (কথিত সাপ্তাহিকের সম্পাদক) সঙ্গে দেখা করতে বলেন। এর আগে তিনি গিয়াস উদ্দিনকে চিনতেন না। ওইদিন গিয়াস উদ্দিনকে ফোনে কল দিলে তাকে ধানমন্ডি ২৭ এলাকায় কফি ওয়ার্ল্ডে যেতে বলেন। সেখানে গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ওই সময় গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে একজন ভদ্রলোক (প্রকৌশলী শাহরিয়ার) বসে ছিলেন। গিয়াস উদ্দিন তাকে প্রকৌশলী শাহরিয়ারের সঙ্গে কফি ওয়ার্ল্ডের আন্ডারগ্রাউন্ডে যেতে বলেন। আন্ডারগ্রাউন্ডে রাখা গাড়িতে প্রকৌশলী শাহরিয়ার উঠতে বলেন। তখন একটি খাকি খাম তার হাতে দেওয়া হয়। গাড়ি থেকে নেমে আসার সময় খাম থেকে টাকাগুলো নিচে পড়ে যায়। পরে প্রকৌশলী শাহরিয়ারসহ তিনি নিজে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা আবার খামে ভরে কালো রঙের একটি স্কুল ব্যাগে ভরে নেন। শাওন সাহা এভাবেই টাকাসহ আবু মেহেদীর অফিসে চলে যান উল্লেখ করে জবানবন্দি দেন।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, মিন্টু রোডে ডিএমপি ডিবি গেটের সামনে গিয়ে অভিযোগটির প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই মাজেদ আলীকে হুমকি দিয়ে ভয় দেখান শেখ আবু মেহেদী।
জানা যায়, প্রকৌশলী শাহরিয়ার চৌধুরী গত বছরের ২৮ আগস্ট সাবেক দুই সেনা কর্মকর্তার বিষয়ে ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করতে যান। ওই সময় গণ-অভ্যুত্থানে থানা ভাঙচুর হওয়ায় মামলা নেওয়ার মতো অবস্থা নেই বলে তার অভিযোগটি জিডি করে রাখা হয়। জিডি নং ১৪৪৭। এরপর পুলিশের পরামর্শে ৩ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্মকর্তার ছদ্মবেশ ধারণ করে ভয়ভীতি, প্রতারণা, মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি এবং অপরাধে সহায়তা করার অভিযোগ এনে আদালতে সিআর মামলা করেন তিনি। সিআর মামলা নং-৫৭৯/২০২৪ (মোহাম্মদপুর)।
প্রকৌশলী শাহরিয়ার চৌধুরী জানান, আবু মেহেদীর নেতৃত্বে রাজধানীতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের নাম ভাঙিয়ে প্রকাশ্য প্রতারক চক্র গড়ে তোলা হয়েছে। সরকারি অফিস ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত কিছু সৈনিককে নিয়ে তদবির কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে টাকা আদায় করছে। সাবেক সেনা কর্মকর্তা সরদার আমান উল্লাহ ছাড়াও কথিত সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন, তারাও তার টিমে। আরো কিছু স্মার্ট দালাল আছে। তিনি জানান, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ তার মামলাটি তদন্ত করে প্রমাণিত হওয়ায় আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছে। এখন আদালতের নির্দেশের অপেক্ষায় আছেন। তিনি তার মামলা ছাড়াও এই প্রতারক চক্র রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা আদায়ের ঘটনা শুনেছেন। তিনি অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।