সরকারকে এক মাস সময় দিলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:০৬ অপরাহ্ন, ১৩ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১:০০ পূর্বাহ্ন, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা সরকারকে এক মাস সময় দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে পর্যায়ক্রমে অর্ধদিবস, পূর্ণদিবস এবং লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’।

বুধবার (১৩ আগস্ট) শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের সামনে এই ঘোষণা দেন জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী। তিনি জানান, ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

আরও পড়ুন: সেনাবাহিনী প্রধানের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই: আইএসপিআর

অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন বলেন, “সরকারকে এক মাস সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে দাবি মানা না হলে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর অর্ধদিবস, ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। এরপরও দাবি না মানলে ১২ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু হবে।”

তিনি আরও জানান, বৈঠকে মন্ত্রণালয় দাবি বাস্তবায়নে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাড়িভাড়া ভাতা ৫০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব সংবলিত ডিও লেটার ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১,০০০ টাকা করারও প্রক্রিয়া চলছে।

আরও পড়ুন: দুর্নীতির তদন্তে সাবেক গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরদের ব্যাংক হিসাব তলব

দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, “আমরা বাড়িভাড়ার ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। মন্ত্রণালয় আমাদের দাবির যৌক্তিকতা স্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, সব দাবি একসাথে পূরণ করা সম্ভব নয়। তাই ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।”

তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি দাবি অনুযায়ী ডিও লেটার অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো না হয়, তাহলে আমরা নতুন করে কর্মসূচি ঘোষণা করব।”

উল্লেখ্য, দেশব্যাপী এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের নেতৃত্বে চলমান এ আন্দোলনে দিন দিন শিক্ষক-কর্মচারীদের অংশগ্রহণ ও সমর্থন বাড়ছে।