চলতি বছরই রোহিঙ্গা ইস্যুতে ৩টি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:৪৫ অপরাহ্ন, ১৬ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১:০২ পূর্বাহ্ন, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

দীর্ঘদিনের রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা জোরদারে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে মালয়েশিয়ার প্রভাব এবং আসিয়ান সভাপতির ভূমিকা কাজে লাগাতে চায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মালয়েশিয়ার জাতীয় সংবাদ সংস্থা বারনামাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, চলতি বছর রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুন: ৮৪ দফা ও ৮ অঙ্গীকার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে জাতীয় জুলাই সনদের খসড়া

মালয়েশিয়ার ভূমিকা

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আসিয়ান সভাপতির দায়িত্বে থাকা মালয়েশিয়ার অভিজ্ঞতা ও আঞ্চলিক নেতৃত্ব এই সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। রোহিঙ্গা শরণার্থী গ্রহণে দেশটির অবদান এবং প্রভাব আলোচনাকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন: পরিবহন সেক্টরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে : শিমুল বিশ্বাস

নতুন ঢলের সতর্কতা

তিনি সতর্ক করে বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষের কারণে রোহিঙ্গাদের নতুন করে বাংলাদেশে প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। গত ১৮ মাসেই প্রায় দেড় লাখ নতুন রোহিঙ্গা কক্সবাজারে এসেছে। এর আগে থেকেই প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে।

সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের জন্য দেওয়া তহবিল বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে আশ্রয়, খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব চাপে পড়েছে।

তিন সম্মেলনের রূপরেখা

ড. ইউনূস জানান, চলতি বছরে তিনটি সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। এর মধ্যে প্রথমটি অনুষ্ঠিত হবে আগস্টের শেষের দিকে কক্সবাজারে, রোহিঙ্গা আগমনের অষ্টম বার্ষিকী উপলক্ষে। বাকি দুটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের তারিখ ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে।

অচলাবস্থা ও প্রভাবিত রাষ্ট্রগুলো

২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনা অভিযানের পর থেকেই বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। তবে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া কার্যত থমকে আছে। ২০২১ সালে মিয়ানমারে নতুন করে সামরিক সংঘাত শুরু হওয়ার পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।

শুধু বাংলাদেশ নয়, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়াসহ বেশ কয়েকটি আসিয়ান দেশও রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরাসরি প্রভাবিত হচ্ছে। মানবিক কারণে মালয়েশিয়া প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে, যদিও দেশটি জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেনশনের স্বাক্ষরকারী নয়।