ডাকাতির ঘটনায় ১১ সেনা সদস্য কারাগারে

ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকায় তদন্ত শেষে সেনাবাহিনী আদালতে কারাদণ্ড প্রদান করে ১১ সেনা সদস্যকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সূত্র জানায়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ রাজধানী ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় একটি ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়ার কারণে নিম্নে উল্লিখিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১১ জন সদস্যকে সামরিক আদালতে সেনাবাহিনীর চাকরি হতে বরখাস্ত ও বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করে ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
বরখাস্ত ও সাজাপ্রাপ্ত সেনা সদস্যরা হলেন:
আরও পড়ুন: সিএমপির সাংবাদিক নির্যাতন: ঘুসি আকবরের পর ডিসি আমিরুল
১. কর্পোরাল আবু রায়হান, সদর দপ্তর ৭১ মেকানাইজড ব্রিগেড, সাজা: ১ বছর ৬ মাস
২. সৈনিক সাকিল আহমেদ, সদর দপ্তর ৭১ মেকানাইজড ব্রিগেড, সাজা: ১ বছর ৬ মাস
আরও পড়ুন: ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা
৩. ল্যাঃ কর্পোরাল শামসুল আলম, ৪ বীর, সাজা: ৪ বছর
৪. সার্জেন্ট আব্দুল কুদ্দুস, এএফডি, সাজা: ৪ বছর
৫. কর্পোরাল রফিকুল ইসলাম, এএফডি, সাজা: ৫ বছর
৬. ল্যাঃ কর্পোরাল মহিউদ্দিন, সদর দপ্তর ৭১ মেকানাইজড ব্রিগেড, সাজা: ৬ বছর
৭. সৈনিক মেসবাহ উদ্দিন, ৪ বীর, সাজা: ৩ বছর
৮. সার্জেন্ট আব্দুস সালাম আজাদ, সদর দপ্তর ৭১ মেকানাইজড ব্রিগেড, সাজা: ১ বছর ৬ মাস
৯. সৈনিক ইলিয়াস হোসেন, ৪ বীর, সাজা: ৩ বছর
১০. সৈনিক রেজাউল করিম, সদর দপ্তর ৭১ মেকানাইজড ব্রিগেড, সাজা: ১ বছর ৬ মাস
১১. কর্পোরাল মো: সিরাজুল ইসলাম, সদর দপ্তর ৭১ মেকানাইজড ব্রিগেড, সাজা: ৫ বছর
উল্লেখ্য, একই ধরনের অপরাধে ইতোপূর্বে সেনাবাহিনীর মেজর মুরাদকে ২ বছরের এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
এই ঘটনায় সামরিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত ও অন্যদের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করবে বলে সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে।