প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে কিছু উপদেষ্টার ভূমিকায় আপত্তি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫৬ অপরাহ্ন, ২২ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১০:৫৬ অপরাহ্ন, ২২ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়ে জামায়াতে ইসলামী কিছু উপদেষ্টার ভূমিকা নিয়ে আপত্তি তুলেছে। দলের পক্ষ থেকে সরাসরি কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি, তবে অভিযোগ করা হয়, কিছু উপদেষ্টা ‘একটি বিশেষ দলের পক্ষে কাজ করছেন’ এবং প্রধান উপদেষ্টাকে বিভ্রান্ত করছেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, “সব উপদেষ্টার বিষয়ে নয়, আমরা কয়েকজনের ব্যাপারে বলেছি। তারা প্রধান উপদেষ্টাকে বিভ্রান্ত করছে বলে মনে করি। আমরা তাঁকে সতর্ক থাকতে বলেছি।”

আরও পড়ুন: শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের ইতিহাসে স্মরণীয় দিন: প্রধান উপদেষ্টা

এর আগে একই ধরনের অভিযোগ তুলেছিল বিএনপিও, যারা বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল, তবে নাম উল্লেখ করেনি।

তাহের জানান, বৈঠকে কোনো উপদেষ্টার অপসারণ দাবি করা হয়নি, কেবল দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “সময় দিচ্ছি, পরবর্তীতে কী করব, সেটা ভাবছি।”

আরও পড়ুন: নির্বাচনে আমাদের নিরপেক্ষতা সম্পর্কে নিশ্চিত থাকুন

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি না তুললেও, জামায়াত জানিয়েছে, তারা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে। তাহের বলেন, “রায়ে যদি কোনো ব্যত্যয় না হয়, তাহলে এই অন্তর্বর্তী সরকারই তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকা পালন করবে।”

তবে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে দলের অবস্থান পরিষ্কার করেছে জামায়াত। তারা চায়, একটি সরকারি আদেশের মাধ্যমে সনদকে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়া হোক। তাহের বলেন, “অধ্যাদেশ দুর্বল। আদেশের মাধ্যমেই সাংবিধানিক বৈধতা দেওয়া সম্ভব। আমরা আমাদের এক্সপার্ট কমিটি এবং ঐকমত্য কমিশনের এক্সপার্টদের সঙ্গে বসে এই সিদ্ধান্তে এসেছি।”

তিনি দাবি করেন, এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাও একমত হয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

বৈঠকে আরও আলোচিত হয়েছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সময়সূচি, নভেম্বরের শেষ দিকে গণভোট আয়োজনের পরিকল্পনা এবং ‘এক্সট্রা কনস্টিটিউশনাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ বাস্তবায়নের রূপরেখা। তাহের বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এই সনদ বাস্তবায়ন না হলে, এত পরিশ্রম অর্থহীন হয়ে যাবে। তিনি যথাযথ উদ্যোগ নেবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন।”

বৈঠকে জামায়াতের চার সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নিয়েছে, যার নেতৃত্ব দেন সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।