ঢাকা সেনানিবাসের সাবজেলে কী সুবিধা ও খাবার পাচ্ছেন ১৫ সেনা কর্মকর্তা

মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার করা ১৫ সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তাকে নিয়মিত কারাগার থেকে ঢাকা সেনানিবাসের সাব-জেলে স্থানান্তর করা হয়েছে। সামরিক আবাসিক এলাকায় স্থাপিত এই সাব-জেলেই এখন থেকে তাদের নির্ধারিত সব কার্যক্রম কারাবিধি অনুযায়ী পরিচালিত হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতে ১২ অক্টোবর বাশার রোডসংলগ্ন ‘এমইএস বিল্ডিং-৫৪’কে অস্থায়ী কারাগার ঘোষণা করা হয়। দুদিন পর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ্যে আসে।
আরও পড়ুন: সৌদি সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস
কারা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সংশ্লিষ্ট ১৫ কর্মকর্তার জন্য তিনবেলা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মেন্যুতে রয়েছে—
আরও পড়ুন: চার এএসপিকে চাকরিচ্যুত করেছে সরকার
| খাবারের সময় | মেন্যু |
| ----------- | ------------------------- |
| সকাল | রুটি ও সবজি |
| দুপুর | ভাত, ডাল, সবজি ও মাছ/মাংস |
| রাত | সবজি ও মাছ/মাংস |
কারাবিধি অনুযায়ী, বাইরের খাবার আনা বা সরাসরি সাক্ষাৎ—সবকিছুই নির্ধারিত নিয়ম মেনে হবে।
সাব-জেল ভবনটি তিনতলা এবং এতে মোট ১৬টি কক্ষ। প্রত্যেক আসামিকে আলাদা কক্ষে রাখা হয়েছে। কক্ষগুলোতে রয়েছে—
* একটি বিছানা
* চেয়ার ও টেবিল
* একটি দৈনিক পত্রিকা
* ফ্যান
* প্রয়োজন অনুসারে চা পানের ব্যবস্থা
সাব-জেলে নিরাপত্তা ও পরিচালনার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন ৩৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। তদারকি করছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ও জেলার। সার্বক্ষণিক দায়িত্বে রয়েছেন তিনজন ডেপুটি জেলার, যারা রোটেশন ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করবেন।
কারা কর্মকর্তাদের ভাষায়, অন্যান্য ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দিদের মতোই তারা প্রাপ্য সুবিধা পাবেন।
কারা অধিদপ্তরের এআইজি (প্রিজনস) জান্নাতুল ফরহাদ জানান, আদালতে হাজিরার সময় আসামিদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হবে এবং শেষে আবার সাব-জেলে ফিরিয়ে আনা হবে।
এই সাব-জেলে থাকা ১৫ সেনা কর্মকর্তা হলেন, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, মো. কামরুল হাসান, মো. মাহাবুব আলম, মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (এলপিআরে), লে. কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লে. কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লে. কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম এবং মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম।