উপদেষ্টা পরিষদের জরুরী বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ
গণভোট বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত না হলে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে
দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা সভাপতিত্বে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে ব্রিজ করেন। আইন উপদেষ্টা বলেন গণভোট অনুষ্ঠানের সময় ও পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
তিনি আরো বলেন জাতীয় নির্বাচন গণভোট ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য উপদেষ্টা পরিষদের আলোচনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো এসব সমস্ত বিষয়ে ঐক্যমত না হলে পরবর্তীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিবে।
আরও পড়ুন: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৬ আসন থেকে লড়বেন তারেক রহমান
আজ জাতীয় ঐক্যমত কমিশন কর্তৃক প্রণীত জুলাই সনদ এবং এর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপনের প্রচেষ্টার জন্য এবং বহু বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।
উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ চুড়ান্তকরণ এবং এতে উল্লেখিত গণভোট আয়োজন ও গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে লক্ষ্য করা হয় যে, ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘদিন আলোচনার পরও কয়েকটি সংস্কারের সুপারিশ বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। এছাড়া, গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে ও এর বিষয়বস্তু কি হবে এসব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে সে জন্য সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এই প্রেক্ষিতে গণভোটের সময় কখন হবে, গণভোটের বিষয়বস্তু কি হবে, জুলাই সনদে বর্ণিত ভিন্নমতগুলো প্রসঙ্গে কি পদক্ষেপ নেয়া হবে তা নিয়ে ঐক্যমত কমিশনের প্রস্তাবগুলোর আলোকে জরুরী ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে সভা অভিমত ব্যক্ত করে।
আরও পড়ুন: ফেনী-১, দিনাজপুর-৩ ও বগুড়া-৭ আসনে লড়বেন খালেদা জিয়া
এসব ক্ষেত্রে ফ্যসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বীয় উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে দ্রুততম সময়ে ( সম্ভব হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে) সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা প্রদান করার আহ্বান জানানো হয়। এমন নির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহন অনেক সহজ হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কাল ক্ষেপনের যে কোন সুযোগ নাই সেটাও আমাদের সবার বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন।
সভায় ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্থে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয়।





