বিদ্যুৎ চুক্তিতে বড় দুর্নীতি হয়েছে: তদন্ত কমিটি
আদানিসহ অধিকাংশ বিদ্যুৎ চুক্তিতে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের গঠিত উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। এসব চুক্তির সঙ্গে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার, আমলা ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পক্ষের জড়িত থাকার তথ্যও পাওয়া গেছে। তবে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এসব চুক্তি সম্পাদিত হওয়ায় যথাযথ প্রমাণ ছাড়া কোনো চুক্তি বাতিল করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন কমিটির সদস্যরা।
রোববার (৩ নভেম্বর) বিদ্যুৎ খাতের বিশেষ বিধানে সম্পাদিত চুক্তিগুলো পর্যালোচনার লক্ষ্যে গঠিত কমিটি তাদের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের কাছে হস্তান্তর করে। এক বছর ধরে তদন্ত শেষে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৬ আসন থেকে লড়বেন তারেক রহমান
এ সময় বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, “আদানির সঙ্গে করা চুক্তির বিষয়ে যদি দুর্নীতির প্রমাণ মেলে, তাহলে সেই চুক্তি বাতিল হতে পারে। তবে রাষ্ট্রীয় চুক্তি চাইলেই বাতিল করা যায় না। বিষয়টি প্রমাণসাপেক্ষ।”
তিনি আরও জানান, সবার সহযোগিতা পেলে দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব তথ্য দুদকের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
আরও পড়ুন: ফেনী-১, দিনাজপুর-৩ ও বগুড়া-৭ আসনে লড়বেন খালেদা জিয়া
কমিটির প্রধান সাবেক বিচারপতি মইনুল ইসলাম বলেন, দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ আইনের আওতায় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার বড় ধরনের অনিয়ম করেছে। ভারতের আদানিসহ বিভিন্ন দেশের কোম্পানির সঙ্গে করা এসব চুক্তিতে দুর্নীতি হয়েছে বলে প্রমাণ মিলেছে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
তদন্ত কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন পরবর্তী সময়ে প্রধান উপদেষ্টা এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।





