ঢাকায় ভূমিকম্প আতঙ্কে স্কুল বিশ্ববিদ্যালয় ও গ্যাস কুফ খনন বন্ধ

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:০৮ অপরাহ্ন, ২৩ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৮:৩৭ অপরাহ্ন, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

পাঁচ দশমিক সাত মাত্রার ভূমিকম্পের আতঙ্কে সারা দেশে স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় মানুষ আতঙ্কে দিন কাটিয়েছে। ভূমিকম্পে বেশ কিছু ভবনে ফাটল ও হেলেপড়া দেখা গেছে, এবং সারা দেশে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সরকার ভূমিকম্পের ঝুঁকি বিবেচনায় ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত গ্যাস কূপ খনন ও ভূতাত্বিক জরিপ কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট গ্যাসক্ষেত্রগুলোর মধ্যে কুমিল্লার শ্রীকাইল, হবিগঞ্জ ও সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাসকূপ অন্তর্ভুক্ত।

আরও পড়ুন: অবসরে যাচ্ছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। এমবিবিএস পরীক্ষা ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমে একদিনের ছুটি ঘোষণা করলেও পরে ৩০ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাটল দেখা দেয়ায় অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজধানীর বেশ কিছু স্কুল ও কলেজে ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে, যেমন আইডিয়েল স্কুল, ন্যাশনাল আইডিয়েল স্কুল, আব্দুর রাজ্জাক স্কুল ও কডরোভা ইংলিশ মিডিয়াম।

ঢাবি প্রশাসন বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দলের পরামর্শ অনুযায়ী পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ হল পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রতিটি রুমের চাবি হস্তান্তর করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ হলে শিক্ষার্থীদের অন্যত্র সরানো হবে। নতুন হল নির্মাণের কাজ আগামী মার্চ থেকে শুরু হবে এবং মুহসীন হলকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: পরপর তিন দফা ভূমিকম্পে আবারো কেঁপে উঠলো ঢাকা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, দেশে ভূমিকম্পের আগাম সতর্কবার্তা অ্যাপ চালু করার প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে।

ভবন নির্মাণ ও জলাশয় ভরাটের কারণে ঝুঁকি বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তাই রাজউককে নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স আট দফা সতর্কতামূলক নির্দেশনা দিয়েছে, যেমন ভূমিকম্পে নিচু হওয়া, শক্ত টেবিলের নিচে আশ্রয় নেওয়া, লিফট ব্যবহার না করা এবং গ্যাস ও বৈদ্যুতিক সংযোগ দ্রুত বন্ধ করা।

ভূমিকম্পের পর সারা দেশে আতঙ্কের এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যক্রম স্থগিত রেখে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে।