বায়ুদূষণে আবারও বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে ঢাকা, স্বাস্থ্যের জন্য ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
বিশ্বের বড় শহরগুলোতে বায়ুদূষণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। দীর্ঘদিন ধরেই মেগাসিটি ঢাকা এ সংকটের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। বিশেষ করে শীত এলেই দূষণের মাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। আজ মঙ্গলবারও সেই বাস্তবতার ব্যতিক্রম হয়নি। আন্তর্জাতিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ারের সূচকে ঢাকার অবস্থান বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত শহর।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ৪৪ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) দাঁড়ায় ২৫০—যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত।
আরও পড়ুন: বেগম রোকেয়া নারী সমাজকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছিলেন: প্রধান উপদেষ্টা
এ সময়ে দূষণের তালিকার শীর্ষে ছিল ভারতের কলকাতা, যার স্কোর ২৬২। তৃতীয় স্থানে রয়েছে মিশরের কায়রো (২৩৯) এবং চতুর্থ স্থানে দিল্লি (২৩২)।
তথ্যমতে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে থাকলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের প্রত্যাখ্যান করলে দুর্নীতি কমবে: দুদক চেয়ারম্যান
ঢাকার একিউআই ২৫০ হওয়ায় এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। শিশু, বয়স্ক, গর্ভবতী নারী ও অসুস্থ মানুষের জন্য এই পরিবেশ বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজধানীতে দূষণের বড় উৎস—
* ইটভাটা
* যানবাহনের ধোঁয়া
* নির্মাণসাইটের উন্মুক্ত ধুলা
নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন,
ঢাকার বায়ুদূষণ এক ধরনের স্থায়ী সংকটের রূপ নিয়েছে। এখন নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে নিয়ন্ত্রণহীন নির্মাণকাজ। সরকারি-বেসরকারি সব উন্নয়নকর্ম প্রায়ই উন্মুক্তভাবে চালানো হয়, যেখানে পরিবেশগত মান একেবারেই উপেক্ষিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দূষণ রোধে কঠোর নজরদারি, নির্মাণসাইটে ধুলা নিয়ন্ত্রণ, ইটভাটার আধুনিকীকরণ ও যানবাহন ব্যবস্থায় সংস্কার ছাড়া সমাধান কঠিন।





