শহীদ হাদির কবর জিয়ারতে মানুষের ঢল, রাতে থাকবে পুলিশ প্রহরা

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

শহীদ শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করতে শনিবার সন্ধ্যার পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশের কবরস্থান ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিসৌধসংলগ্ন প্রবেশপথে রাত নামলেও সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। কেউ দূর থেকে দাঁড়িয়ে দোয়া করেছেন, কেউ কবর দেখার অপেক্ষায় ছিলেন, আবার অনেকে মোবাইলে ছবি তুলেছেন।

শনিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, কবরস্থানের সামনের অংশ থেকে নিরাপত্তা ব্যারিকেড আংশিকভাবে তুলে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে শাহবাগ থানা ও টিএসসি এলাকার ব্যারিকেডও সরানো হয়েছে। তবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে।

আরও পড়ুন: দুপুরে তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন সিইসি

নিরাপত্তার স্বার্থে কবরস্থানের ভেতরে প্রবেশ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের গেট ও বাইরের প্রধান ফটকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাতভর কবরস্থানে পুলিশি প্রহরা থাকবে এবং ভেতরে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সাধারণ মানুষ কেবল বাইরে থেকেই দোয়া করতে পারবেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা জানান, নিরাপত্তা বিবেচনায় আজ রাত ও আগামীকালও এই এলাকায় বাড়তি সতর্কতা বজায় রাখা হতে পারে। তবে কবে নাগাদ কবরস্থান সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো সময় জানানো হয়নি।

আরও পড়ুন: তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট থেকে দুই কেবিন ক্রু প্রত্যাহার

এর আগে শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদসংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিসৌধের পাশে শহীদ শরিফ ওসমান হাদিকে দাফন করা হয়। দাফন অনুষ্ঠানে এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এরও আগে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মানুষের অংশগ্রহণে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।