তারেক রহমানের নিরাপত্তায় জিয়া উদ্যান–স্মৃতিসৌধসহ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিজিবি মোতায়েন

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩:০০ অপরাহ্ন, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৫:৩৭ অপরাহ্ন, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

তারেক রহমানের নিরাপত্তায় জিয়া উদ্যান–স্মৃতিসৌধসহ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিজিবি মোতায়েন

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জিয়া উদ্যান, সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যক বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: তারেক রহমানের গণসংবর্ধনায় মানুষের ঢল কিসের ইঙ্গিত, জানালেন প্রেস সচিব

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) জুমার নামাজ শেষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন তারেক রহমান।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফেরেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশে ফেরার একদিন পর শুক্রবার গুলশানের বাসভবন থেকে প্রথমে বাবার কবর জিয়ারত এবং পরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাওয়ার কর্মসূচি নির্ধারিত রয়েছে।

আরও পড়ুন: ঢাকায় শীতের দাপট বাড়ছে, তাপমাত্রা নামল ১৩ ডিগ্রিতে

এ উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন খান আনু জানান, শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে স্মৃতিসৌধ এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ শেষ করা হয়েছে।

তারেক রহমানের আগমনকে ঘিরে সাভারে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্মৃতিসৌধ এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন। অনেক নেতাকর্মী প্রিয় নেতাকে এক নজর দেখার আশায় স্মৃতিসৌধগামী মহাসড়কে অবস্থান নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

এদিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও আশপাশের এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলাম বলেন, “নিরাপত্তায় কোনো ধরনের বিঘ্ন যেন না ঘটে, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।”

স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, শুক্রবার সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষের সমাগম হতে পারে।

এর আগে ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন এলাকায় নজিরবিহীন জনসমাগম ঘটে। পরবর্তীতে রাজধানীর ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট) এলাকায় আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনায় তিনি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।