স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে ইসলামী আন্দোলনের ২ দিনের কর্মসূচি

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৩২ অপরাহ্ন, ১৪ মে ২০২৪ | আপডেট: ৯:০৫ অপরাহ্ন, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, ডামি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে বলেছেন, ইসলামী দলগুলোর নাকি ফিলিস্তিন ইস্যুতে কোন মিছিল মিটিং তিনি দেখছেন না। এতে মনে হয় তার চক্ষু চিকিৎসা করানো দরকার। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফিলিস্তনে ইসরাইলী হামলার শুরু থেকে দলের আমীর পীর সাহেব চরমোনাইর নেতৃত্বে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের দাবিতে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহতভাবে করে আসছে। আগামি ১৭ মে সারাদেশে জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে। গত ১০ মে ঢাকার বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশে দলের নায়েবে আমীল মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারকে ফিলিস্তিনে সেনা প্রেরণের দাবি জানিয়েছেন। হাসান মাহমুদ সাহেবরা আন্তরিক হলে ফিলিস্তিনে সেনাবাহিনী পাঠিয়ে আন্তরিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। এছাড়াও আগামি ৩১ মে দলের আমীর পীর সাহেব চরমোনাইর নেতৃত্বে ঢাকায় স্মরণকালের বিশাল গণমিছিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন, দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, জিএম রুহুল আমিন, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, মাওলানা আরিফুল ইসলাম।

আরও পড়ুন: রুকন না হলে চাকরি থাকবে না বলেছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি: রিজভী

ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, সরকার নিজেদের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করে সাম্রাজ্যবাদি গোষ্ঠীর পদলেহনে ব্যস্ত। বিদেশের স্বার্থ রক্ষা করে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতে চায়। এজন্য কখনো ভারত, কখনো চীন ও কখনো ওয়াশিংটনের তাঁবেদারিতে মরিয়া হয়ে উঠছে। দেশপ্রেমিক বিদেশী তাঁবেদার সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এজন্য রাজনীতিতে আদর্শিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে দেশপ্রেমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, আমেরিকার সাথে যে কোন দেশবিরোধী চুক্তি করলে জনগণ তা রুখে দাড়াতে বাধ্য হবে।

আরও পড়ুন: ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দেবেন তারেক রহমান