নভেম্বরের মধ্যেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আশা করা যায়, নভেম্বরের মধ্যেই দেশে ফিরবেন।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তন রুখতে ঐক্যের আহ্বান সালাহউদ্দিনের
সালাহউদ্দিন বলেন, "বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আশা করি নভেম্বরের মধ্যেই দেশে ফিরবেন।"
তারেক রহমানের দেশে ফেরার সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, "খুব শিগগিরই নির্ধারিত তারিখটি জানা যাবে।"
আরও পড়ুন: জুলাই সনদের ড্রাফট প্রকাশে কমিশনের গোপনীয়তায় প্রশ্ন এনসিপির
জাতীয় নির্বাচনে তারেক রহমান কোন আসন থেকে নির্বাচন করবেন—এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "তারেক রহমান অবশ্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। আসন পরে নির্ধারিত হবে। বাংলাদেশের যেকোনো আসন থেকে তিনি নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন।"
এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী নির্বাচনে কোন আসন থেকে নির্বাচন করবেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "আমরা আশা করি দেশনেত্রী নিজের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে আমরা চাই তিনি নির্বাচনে অংশ নিন।"
সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, আসন্ন নির্বাচনে বৃহৎ জোট গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গেও রাজনৈতিক যোগাযোগ রয়েছে, তবে জোট স্থির হবে কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়।
তিনি আরও বলেন, "চলতি অক্টোবর মাসের মধ্যেই ২০০ আসনে বিএনপির একক প্রার্থীকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেওয়া হবে, যাতে তারা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে পারেন।"
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আরপিও সংশোধনে অনেক বিষয় আমরা মেনে নিয়েছিলাম। তবে ২০/১ উপধারায় বলা হয়েছিল, জোটবদ্ধ হলে দলগুলো অন্য রাজনৈতিক দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে। যেভাবে আরপিও পাস হয়েছে, তা ছোট দলগুলোকে জোটে যুক্ত হতে নিরুৎসাহিত করবে। এতে ছোট দলগুলো সুযোগ হারাবে।"
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, "বিএনপি বহুদলীয় ও শক্তিশালী সংসদ দেখতে চায়। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আইনটি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছি। এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আমরা আনুষ্ঠানিক চিঠি দেব।"





