বিএনপির যেসব প্রভাবশালী নেতা মনোনয়ন পাননি

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:২৭ পূর্বাহ্ন, ০৪ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৭:২৭ পূর্বাহ্ন, ০৪ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তবে ঘোষিত এই তালিকায় জায়গা হয়নি দলের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ও শীর্ষ পর্যায়ের নেতার।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। তবে তিনি জানান, এটি দলের প্রাথমিক তালিকা, প্রয়োজনে এতে সংশোধন বা সংযোজন আসতে পারে।

আরও পড়ুন: বিএনপির বঞ্চিতদের এনসিপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর

ঘোষিত তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এতে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও বেগম সেলিমা রহমানের নাম নেই। এছাড়া দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও আসাদুজ্জামান রিপন, এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আসলাম চৌধুরী ও আমিনুর রশীদ ইয়াসিনের নামও অনুপস্থিত।

তালিকায় দেখা যায়নি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, ও হুমায়ুন কবীরের নামও। যদিও রুহুল কবির রিজভী নিজে প্রার্থী হতে আগ্রহী ছিলেন না বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

আরও পড়ুন: দেশে ফিরে জামায়াত আমির দলের চূড়ান্ত প্রার্থীদের বিষয়ে যা বললেন

একাদশ সংসদের সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পরিচিত মুখ রুমিন ফারহানার নামও তালিকায় নেই।

এছাড়া ঢাকা-১০ আসনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন অসীম ও নেতা রবিউল ইসলাম রবির নামও অনুপস্থিত। মাগুরা জেলা থেকে মনোনয়নের জন্য চেষ্টা করা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়নও বাদ পড়েছেন প্রার্থী তালিকা থেকে।

দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিএনপি এবারও আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এক পরিবার থেকে একাধিক প্রার্থী না রাখার নীতিতে অটল রয়েছে। সেই কারণে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের স্ত্রী হাসিনা আহমদ, মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস, এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর স্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদকেও মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।

তবে যেসব আসনে বিএনপির সিনিয়র নেতারা প্রয়াত হয়েছেন, সেই আসনগুলোতে তাঁদের সন্তান বা স্ত্রীদের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে দলটি।