বিগত তিন নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা ওসিদের আর পোস্টিং দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:১২ অপরাহ্ন, ০৪ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৬:১২ অপরাহ্ন, ০৪ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন বিগত তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ওসি সহ পুলিশ কর্মকর্তাদের আসন্ন নির্বাচনে দায়িত্ব দেওয়া হবে না। আমরা প্রাথমিকভাবে তিন নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করাদের চিহ্নিত করেছি। পর্যায়ক্রমে তাদেরকে প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। যোগ্য পুলিশ কর্মকর্তা পাওয়া গেলে তাদের আর পোস্টিং দেওয়া হবে না।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মঙ্গলবার (৪ মঙ্গলবার) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্বাচন সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

আরও পড়ুন: ৩ শতাধিক বিচারককে জেলা জজ পদে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত

নির্বাচনে যদি পুলিশ কোনো রাজনৈতিক দলকে বিশেষ সুবিধা দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি করেছি আমরা। কারো কোনো ধরনের অবহেলা বা নেগলিজেন্স প্রমাণিত হলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আগে শুধু জিডি করে রাখা হতো, এবার আর তা নয়—সরাসরি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: নিবন্ধন পাচ্ছে এনসিপিসহ তিন রাজনৈতিক দল

উপদেষ্টা আরও বলেন, পুলিশের প্রতি আমার স্পষ্ট নির্দেশ—নির্বাচন হতে হবে ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল ও উৎসবমুখর। পুলিশের কেউ অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার থাকবে কি না, জানতে চাইলে তিনি জানান, সেনাবাহিনীর এখন সেই পাওয়ার রয়েছে। নির্বাচন ঘনিয়ে এলে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হবে।

পুলিশে রদবদল প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে যারা দায়িত্বে ছিলেন, তাদের মধ্যে যারা তিনটি নির্বাচনের সঙ্গেই জড়িত, তাদের পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হবে। এরপর দেখা হবে যারা দুটি নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে নতুন ওসি বা কর্মকর্তা নিয়োগে জনবল সীমাবদ্ধতা থাকায় যাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই, তাদের কিছু ক্ষেত্রে দায়িত্বে রাখা হতে পারে।

বিগত সরকারের সময় লুট হওয়া অস্ত্র, কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড ও অস্ত্র চুরির ঘটনায় নিরাপত্তা দুর্বলতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার প্রধান একজন সিনিয়র সচিব। ইতোমধ্যে চার-পাঁচটি দেশে চিঠি পাঠানো হয়েছে, এর মধ্যে কয়েকটি দেশের প্রতিনিধি এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন।

অস্ত্র চুরির বিষয়ে তিনি জানান, তদন্ত চলছে, এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি কয়টি বা আদৌ কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কিনা। যদি প্রমাণিত হয়, দায়ীদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামের রাউজানে একটি অভিযান চালিয়ে ১১টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে এবং কয়েকজন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাউজান ও ফটিকছড়িকে কঠিন (ডিফিকাল্ট) এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, কারণ এ দুটি উপজেলায় পাহাড়ি ও সমতল উভয় অঞ্চল রয়েছে।