জনমনে সংশয়, যথাসময়ে কি নির্বাচন হবে: তারেক রহমান
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করার পরও প্রতিনিয়ত একের পর এক শর্ত জুড়ে দিয়ে গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সংকটাপূর্ণ করে তোলা হচ্ছে— এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
রোববার (২ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে প্রবাসে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: চার মন্ত্রণালয় ও বিভাগে নতুন সচিব নিয়োগ
তারেক রহমান বলেন, “পলাতক স্বৈরাচারের শাসনামলে জনমনে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো আগ্রহ ছিল না। আর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় জনমনে প্রশ্ন উঠছে— যথাসময়ে কি নির্বাচন হবে? নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সংশয় ও সন্দেহ গণতন্ত্রের উত্তরণের পথকে সংকটাপূর্ণ করে তুলতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি শুরু থেকেই ফ্যাসিবাদীবিরোধী জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার স্বার্থে সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে অন্যান্য গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার পথ বেছে নিয়েছে। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেও আমরা যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করেছি। অথচ দেখা যাচ্ছে, প্রতিনিয়ত নতুন নতুন শর্ত আরোপ করে গণতন্ত্রের পথকে জটিল করে তোলা হচ্ছে। এর পরিণতি সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”
আরও পড়ুন: কয়েকটি দলের মন যুগিয়ে চলার নীতি সরকারকে বাদ দিতে হবে: তিন দলের যৌথ সভায় বক্তারা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিএনপি দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। কিন্তু জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনের কারণেই ষড়যন্ত্রকারীরা বেশিরভাগ সময় ব্যর্থ হয়েছে। জনগণের কাছে বিএনপি একটি বিশ্বস্ত রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।”
তিনি আরও বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছেন। আর দেশনেত্রী খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি শাসনব্যবস্থা থেকে সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় রূপান্তর ঘটিয়েছেন।”
আওয়ামী ফ্যাসিবাদ আমলের প্রসঙ্গ টেনে তারেক রহমান বলেন, “শুধুমাত্র বিএনপির বিজয় ঠেকাতে গিয়ে পতিত স্বৈরাচার দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছিল এবং নির্বাচনি ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে— ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশেও বর্তমানে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র দৃশ্যমান হচ্ছে।”
তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “জাতীয়তাবাদী শক্তিতে বিশ্বাসী প্রতিটি মানুষ যদি ঐক্যবদ্ধ থাকেন, তাহলে কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপিকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে আরও বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল প্রমুখ।





