শিক্ষাঙ্গনে খেলাধুলা ও সংস্কৃতি বাধ্যতামূলক করার কথা বললেন আমিনুল হক

Any Akter
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৩:৪৮ অপরাহ্ন, ১৬ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৩:৪৮ অপরাহ্ন, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

আগামী প্রজন্মের শিক্ষাঙ্গনকে নতুন চিন্তা ও নতুন স্বপ্নের মাধ্যমে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ও ঢাকা–১৬ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী আমিনুল হক। তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে শিক্ষা, খেলাধুলা ও সংস্কৃতিকে সমান গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গুণগত পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা। রোববার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পল্লবীতে জিয়া মহিলা কলেজে নবীনবরণ, কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা এবং অভিভাবক–শিক্ষার্থী মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আমিনুল হক বলেন, ‘আগামী শিক্ষাঙ্গন হবে নতুন চিন্তা ও নতুন স্বপ্নের। শুধু পাঠ্যপুস্তক নয়, আমরা খেলাধুলাকে বাধ্যতামূলক করব, সংস্কৃতিকেও বাধ্যতামূলক করব। পড়াশোনা, খেলাধুলা ও সংস্কৃতির সম্মিলিত চর্চার মাধ্যমেই সমাজে গুণগত পরিবর্তন আনা সম্ভব।’

আরও পড়ুন: কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিএনপির হেলথ ক্যাম্পে ১২০০ জনকে চিকিৎসাসেবা

তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ ধানের শীষকে বিজয়ী করলে নতুন সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে। এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি সরকার গঠন করতে পারি, তাহলে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতভাগ স্বশাসন ও স্বাধীনভাবে পরিচালনার নিশ্চয়তা দেওয়া হবে,’।

শিক্ষার মানোন্নয়ন প্রসঙ্গে আমিনুল হক বলেন, শিক্ষক–শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আন্তরিকতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ বাড়াতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অভিভাবকদের একটি পারিবারিক সম্পর্ক তৈরি না হলে শিক্ষার পরিবেশ উন্নত হয় না।

আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন আন্দোলনেরই অংশ: নজরুল ইসলাম খান

গত ১৭ বছরের শিক্ষা ব্যবস্থার সমালোচনা করেন তিনি। আমিনুল হক বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দলীয়করণ ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হয়েছে। দুর্নীতির কারণে কোনো স্কুল–কলেজের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাধীনভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে সেখানে কোনও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকবে না।’

সভায় কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।