তীব্র গরমে প্রশান্তির জন্য মহানবী (সা.) যে দোয়া পড়তেন

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩:২৬ অপরাহ্ন, ২২ এপ্রিল ২০২৪ | আপডেট: ৪:২৭ অপরাহ্ন, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

দেশজুড়ে অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহের প্রবলতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রখর রোদের তীব্রতায় জনজীবন হয়ে উঠেছে বিপর্যস্ত। তাপমাত্রার পারদ ওঠছে ঊর্ধ্বমুখী, সাধারণ মানুষ হাঁসফাঁস করছে অস্বস্তি ও গরমে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস, চলমান এই তীব্র তাপপ্রবাহ আরও তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে।

এই প্রচণ্ড গরমের কারণে 'হিট অ্যালার্ট' বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা আরও তিন দিন বাড়িয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আরও পড়ুন: ইসলামে ভূমিকম্প ও করণীয়

হাদিসের বর্ণিত আছে যে,

প্রখ্যাত সাহাবি জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় ও প্রচণ্ড গরম পড়ায় একদিন নবী (সা.) এর কাছে কিছু লোক এলো। (গরমের তীব্রতায়) তারা কাঁদছিল। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন তাদের জন্য এভাবে দোয়া করলেন-

আরও পড়ুন: ভূমিকম্পের সময় মুসলমানরা যে দোয়া পাঠ করে

اللَّهُمَّ اسْقِنَا غَيْثًا مُغِيثًا مَرِيئًا نَافِعًا غَيْرَ ضَارٍّ عَاجِلاً غَيْرَ آجِلٍ ‏

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাস কিনা গাইসান মুগিসান মুরিয়্যান নাফিয়ান গাইরা দাররিন আজিলান গাইরা আজিলিন।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমাদেরকে বিলম্বে নয় বরং তাড়াতাড়ি ক্ষতিমুক্ত-কল্যাণময়, তৃপ্তিদায়ক, সজীবতা দানকারী, মুষল ধারায় বৃষ্টি বর্ষণ করো।

বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তাদের ওপর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে যায় (এবং বৃষ্টি হয়)। (আবু দাউদ ১১৬৯, ইবনু খুযাইমাহ ১৪১৬)

হাদিসে গরমকে আল্লাহর ক্রোধ বলা হয়েছে। আর আল্লাহর ক্রোধ থেকে বাঁচার জন্য নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেমন দান সদকা করতে বলেছেন, তেমনি দোয়াও শিখিয়ে গেছেন।

দোয়াটি হলো-

اَللهم إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ، وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ، وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ، وَجَمِيعِ سَخَطِكَ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আউজুবিকা মিন যাওয়ালি নি-মাতিকা ওয়া তাহাউলি আফিয়াতিকা ওয়া ফুজাআতি নিকমাতিকা ওয়া জামিয়ি সাখাতিকা।

অর্থ: হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি আপনার নিকট আপনার অনুগ্রহের অপসরণ, নিরাপত্তার প্রত্যাবর্তন, আকস্মিক পাকড়াও এবং যাবতীয় অসন্তোষ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’ (মুসলিম ২৭৩৯, আবু দাউদ ১৫৪৫)

তাই আসুন দুর্বিষহ এ সময়ে শান্তির বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করি। সম্ভব হলে ‘সালাতুল ইসতিসকা’ বা বৃষ্টির নামাজ পড়ি। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন।