রাইজিং স্টার এশিয়া কাপে

সুপার ওভারের রোমাঞ্চে ভারতের স্বপ্ন ভেঙে ফাইনালে বাংলাদেশ

Sanchoy Biswas
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:০৪ অপরাহ্ন, ২১ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাইজিং স্টার এশিয়া কাপের প্রথম সেমিফাইনাল যেন রোমাঞ্চে ভরা এক নাট্যমঞ্চ ৪০ ওভারের লড়াই, তার পর সুপার ওভারের উত্তেজনা, শেষে ভারতীয় শিবিরের আত্মঘাতী ভুলে বাংলাদেশের জয়। ম্যাচ শেষে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন এত ধারাবাহিক ফর্মে থাকা বৈভব সূর্যবংশীকে সুপার ওভারে নামানো হলো না কেন?

বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে তোলে ১৯৪/৬। ভারতের ইনিংসও শেষ হয় ঠিক একই স্কোরে। ফলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে, যেখানে শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে ভারত রানশূন্য থাকে। বাংলাদেশ দ্বিতীয় বলেই প্রয়োজনীয় এক রান তুলে ফাইনালে জায়গা পাকা করে।

আরও পড়ুন: আজ সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টি

টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠান ভারতের অধিনায়ক জিতেশ শর্মা। শুরুতে সেই সিদ্ধান্ত ভুল বলেই মনে হচ্ছিল। বাংলাদেশি দুই ওপেনারই আক্রমণাত্মক মেজাজে শুরু করেন। পাঁচ ওভারের মধ্যেই তাদের রানরেট ১০ ছাড়িয়ে যায়। গুরজপনীত সিংহ ফিরিয়ে দেন জিশান আলমকে, এরপর ভারতীয় স্পিনাররা কিছুটা নিয়ন্ত্রণ ফেরায়। ওপেনার হাবিবুর রহমান ৪৬ বলে ৬৫ রান করে দলকে বড় ভরসা দেন, তবে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ।

১৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ছিল ১৪৪/৬। কিন্তু একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন এসএম মেহেরোব। শেষ দুই ওভারে তিনি চার-ছয়ের বন্যা বইয়ে দেন। ১৯তম ওভারে ২৮ রান, শেষ ওভারে আরও ২২রান, ১৮ বলে অপরাজিত ৪৮ রানে প্রায় একাই স্কোর টেনে নিয়ে যান ১৯৪-এ।

আরও পড়ুন: বিয়ের তারিখ ঘোষণা করলেন রোনালদো-জর্জিনা

জবাবে ভারতের শুরুটা ছিল তুফান গতির। বৈভব সূর্যবংশী রিপন মণ্ডল এবং মেহেরোবকে দেখে ছক্কার পর ছক্কা হাঁকাতে থাকেন। মাত্র ৩.১ ওভারে ভারত ছুঁয়ে ফেলে দলগত ৫০—টুর্নামেন্টের দ্রুততম। প্রিয়াংশ আর্যও আক্রমণে যোগ দেন। কিন্তু ৩৮ রান করে বৈভব আউট হতেই ভারত কিছুটা ছন্দ হারায়।

নমন ধীরের ধীরগতির ব্যাটিং, প্রিয়াংশের আউট হওয়া, পরে জিতেশ ও নেহাল ওয়াধেরার ধীর ইনিংস সব মিলিয়ে চাপ বাড়তে থাকে ভারতের উপর।

শেষ দুই ওভারে ভারতের দরকার ছিল ২১ রান। রিপন মণ্ডল দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র পাঁচ রান দিয়ে ভারতের পরিস্থিতি আরও কঠিন করে দেন। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৬। আশুতোষ শর্মার ছয় এবং একটি ড্রপ ক্যাচে চার পেয়ে ম্যাচে ফেরে ভারত। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল চার রান—হর্ষ দুবে শট খেলেও দুই রান সম্ভব ছিল। কিন্তু উইকেটকিপার আকবর আলির ভুল ছাড়ে আরও এক রান নেওয়ার সুযোগ, ফলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।

সুপার ওভারে ভারতের আশা ছিল বৈভবকে দিয়ে বড় রান তোলা। কিন্তু বিস্ময়করভাবে তাকে নামানোই হল না। জিতেশ ও রমনদীপ শুরু করেন ভারতীয় ইনিংস—প্রথম দুই বলেই দুই ব্যাটার ফিরলে শূন্য রানে শেষ হয় ভারতের সুপার ওভার।

বাংলাদেশের জন্য জয়ের লক্ষ্য মাত্র এক রান। প্রথম বলে ইয়াসির আলি আউট হলেও দ্বিতীয় বলে সুযশ শর্মার ওয়াইড দিয়েই বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হয়