আধুনিক দন্ত চিকিৎসায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উদ্ভাবন ও প্রয়োগ বিষয়ক আন্তর্জাতিক কংগ্রেস অনুষ্ঠিত

Any Akter
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৪:০১ অপরাহ্ন, ২৫ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৫:০৩ অপরাহ্ন, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রেভল্যুশনাইজিং ডেন্টিস্ট্রি উইথ এআই: ইনোভেশনস অ্যান্ড ইনসাইটস’ শীর্ষক প্রথম ‘আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক কংগ্রেস রোববার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর ফার্মগেটে কেআইবি, থ্রিডি হলে সোশ্যাল হেলথকেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত এবং মেন্ডি ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতালের সহায়তায় স্পেশালাইজড ডেন্টিস্ট্রি বিষয়ক এই প্রথম আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কংগ্রেসে আধুনিক দন্ত চিকিৎসায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উদ্ভাবন ও প্রয়োগ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের নানা দৃষ্টিভঙ্গি ও গবেষণালব্ধ আলোচনা হয়।

আরও পড়ুন: নির্বাচনে অপতথ্য রোধে ইসির সঙ্গে কাজ করবে টিকটক

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রফেসর ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন চিফ অ্যাডভাইজর, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন: পাগলা মসজিদ কমিটির অনিয়ম–দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্ত ও নতুন কমিটি গঠনের দাবি মুসল্লিদের

এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ডা. হারুন আল রশিদ, চেয়ারম্যান ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতাল প্রেসিডেন্ট, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ভাইস চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল সেক্রেটারি জেনারেল, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।

গেস্ট অব অনার হিসেবে ছিলেন প্রফেসর ড. আবুল কেনান সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (DAB) ডিরেক্টর, নিটর, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।

তাছাড়া আরো গেস্ট অব অনার ছিলেন, প্রফেসর ডক্টর পরিমল চন্দ্র মল্লিক প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (DAB)

স্পেশালাইজড ডেন্টাল ফাউন্ডেশন সম্পর্কে কিছু কথা

স্পেশালাইজড ডেন্টাল ফাউন্ডেশন এর সুচনা হয় ২০০৮ সালের প্রথম দিক থেকে। তখন এটির কার্যক্রম শুরু হয় IMPLANT ( Integrated Medical & Dental Project for Newer Techniques, Thesis & Thought)উদ্যোক্তা হিসাবে ডা: সালাহউদ্দীন আল আজাদ সহধর্মিণী চিকিৎসক ডা: তানিয়া ইসলাম ও নবীন ৩ জন মেডিকেল চিকিৎসক কে সংগে নিয়ে যাত্রা শুরু করেন ক্ষুদ্র প্রয়াসে ঢাকা শহরের বিভিন্ন সুবিধাবঞ্চিত শিশু,বৃদ্ধ এবং স্ট্রিট চিল্ড্রেন দের নিয়ে। পরবর্তীতে ২০১০-১১ ইং সন থেকে সাথে যুক্ত হয় অন্ধ ও বধির স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ( মিরপুর ও মোহাম্মদপুর) ভিত্তিক স্কুলে স্ব-অর্থায়নে সীমিত পরিসরে সেবা ও পরামর্শ প্রদান। ইউসেপ নামক প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে স্বেচ্ছশ্রমে অরাজনৈতিকভাবেই কার্যক্রম পরিচালনা হতো,

পাশাপাশি ACSR ( Association of Correction and Social Rehabilitation), অর্থাৎ সামাজিক পুনরুদ্ধার ও সংশোধন সমিতি- যা বাংলাদেশ পুলিশ ও স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ও সহযোগিতায় পরিচালিত , আহসানিয়া মিশন এতিম শিশু সদন ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন, স্কুল, মিরপুর প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন যা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হতো, তাদের আবাসিক শিশু কিংবা কিশোর কিশোরীদের মুখ ও দাতের পরামর্শ, বিনামুল্যে চিকিৎসা সহ মেডিসিন ও কাউন্সেলিং সেবা প্রদান করা হয়। মানুষের ভালোবাসা এবং নিজেদের ক্ষুদ্র আয়ের সঞ্চিত অর্থে আরো ১০-১৫ জন চিকিৎসক যুক্ত হন এই কর্মযজ্ঞে। গতিশীল উদ্যোগে শামিল হন তৎকালীন বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির কয়েকজন কর্তাব্যক্তি। ইতমধ্যে মেন্ডি ডেন্টাল কলেজ এর শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীগন যুক্ত হন এই ধারায় - বিশেষ করে ডা: নজরুল হুদা, ডা: খান মহিবুল্লাহ সাইদ, ডা: মুন্তাহিনা, ডা: জিহান, ডা: জাহিদ,ডা: মুহিন, ডা: আরেফিন, ডা: আশিক, ডা: আবরার, ডা: মনীষা, ডা: সুদীপ্ত, ডা: মুন্না, ডা: তানিম সহ একঝাক আনকোরা কিন্তু প্রচন্ড ডেডিকেটেড ও উদ্দীপ্ত প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী যারা অনেকেই এখন শিক্ষক ও সরকারি চাকুরীরত। ২০১৬-১৭ ইং সনের দিকে ন্যাশনাল ডেন্টাল ফাউন্ডেশন নামে সাংগঠনিক রুপ দেওয়ার চেস্টা করে এবং প্র

সারা দেশব্যাপী বিভাগ অনুযায়ী ৬ টি বিভাগের ১৪ টি জেলায় অন্তত ১০০ এর বেশি ডেন্টাল ক্যাম্পেইন, বন্যা দুরগতদের পুনর্বাসন ও নিরাপদ খাদ্য-পানি-স্বাস্থ্যসেবা, করোনাকালীন সময়ে পিপিই,খাবার,হ্যান্ড স্যানিটাইজার সহ ভ্যাক্সিনেশন এ সহায়তা সম্পন্ন করে ফাউন্ডেশন টি। ফাউন্ডেশনের চুড়ান্ত রুপ দেওয়ার জন্য স্পেশাল হেলথকেয়ার ফাউন্ডেশন নামে একই কারযক্রম চালু থাকে এবং জয়েন্ট স্টক এক্সচেঞ্জে ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করার সকল প্রক্রিয়া শেষ হয়। কিন্তু বাধ সাধে নানা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতা, তার পরেও থেমে থাকেনা কল্যনমুখী এই চিকিৎসা সহায়তা বিষয়ক সংগঠনটি। ২০২২ ইং সনে প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন এবং ৩ টি বিভাগে বিদেশ থেকে আগত ৩ জন বিশেষজ্ঞ বিনা পারিশ্রমিকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন সিডেশন এনেস্থিসিয়া ও সিপিআর ট্রেনিং এর মাধ্যমে। কেটে গেলো আরো ২ বছর, বারবার প্রত্যাক্ষ্যত হলো রেজিষ্ট্রেশন।

এরপরেও থেমে থাকেনি পথচলা। বাংলাদেশের বিভিন্ন ডেন্টাল কলেজ ও ইউনিট এর নিবেদিত প্রান চিকিৎসক ও ছাত্র-ছাত্রীর সাথে যুক্ত হলো সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও বিভিন্ন বেসরকারি প্রাক্টিশনারগন। মোট উপদেষ্টা, আজীবন, সাধারণ ও সহযোগী সদস্য সহ সংখ্যা দাঁড়ায় ৩০০+। সামনে এলো ২০২৪ এর জুলাই অভ্যুত্থান, আহত, গুলিবিদ্ধ সাধারণ জনগন ও রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের গোপন চিকিৎসা সহায়তা ও আশ্রয় প্রদান। নতুন বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবাকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়ে ইতমধ্যে এই উদ্যোগ এর সাথে সহমত পোষণ করে যুক্ত হন ভারত, চীন, সৌদি আরব, আরব আমিরাত, মালেশিয়া ও উত্তর আমেরিকার শুভাকাঙ্ক্ষী চিকিৎসক ও দাতা ব্যক্তিগন। ফলশ্রুতিতে - অর্ধ সহস্রাধিক চিকিৎসক ও ছাত্র-ছাত্রী সদস্য নিয়ে সিদ্ধান্ত হয় আধুনিক ডেন্টিস্ট্রির বিশ্বায়িত অংশ ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট, ডিজিটাল ডেন্টিস্ট্রি, টেলি ডেন্টিস্ট্রি, ইন্ট্রাওরাল স্ক্যানার এবং সর্বশেষ সংযোজন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আরটিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ডেন্টিস্ট্রিতে যৌক্তিক ব্যবহার।

সব কিছুর মুল লক্ষ্য ছিলো দেশ ও আঞ্চলিক মানুষের জন্য ন্যায়ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা ও রোগনির্ণয় পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা, সচেতনতা তৈরি সহ ক্যান্সার ও ওটিজম প্রতিরোধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহনে সরকার ও বেসরকারি সেক্টর কে সংযুক্ত করে বৈষম্য হীন একটি স্বাধীন দমাজ গড়ে তোলা। রাজনৈতিক ও পেশাজীবি সংগঠন এর পাশাপাশি দেশবরেণ্য চিকিৎসক ও গবেষকবৃন্দ এবং সমাজকর্মীদের এক ছাতার নীচে এনে আগামীর সুস্থ্য বাংলাদেশ গড়ে তোলা।