মহাখালী বাস টার্মিনালে বেড়েছে বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ

পবিত্র ঈদুল ফিতর এগিয়ে আসার সাথে সাথে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার যাত্রীদের চাপ বেড়েছে মহাখালী বাস টার্মিনালে। ঈদের আগে রাজধানীর যানজট এড়াতে অনেকেই পরিবারের সদস্যদের আগেই গ্রামে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে মহাখালী বাস টার্মিনালে ঘুরে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলোতে যাত্রীদের ভিড়। অনেক পরিবারের সদস্যরা এসে তাদের স্বজনদের বাসে তুলে দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: নাসিরনগরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত
নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাগুলোর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া একতা পরিবহনের একটি বাসের যাত্রী শরিফা খাতুন বলেন, "আমার স্বামীর এখনো কয়েকদিন অফিস আছে। ঈদের সময় রাস্তায় প্রচণ্ড ভিড় হয়, তাই আমরা কয়েকদিন আগেই ঢাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছি।"
একই বাসের আরেক যাত্রী মো. রহিম উদ্দিন বলেন, "আমি ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করি। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যেতে চাই। তাই আজ ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছি।"
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে নির্যাতিত শিশুর পাশে তারেক রহমান
একইভাবে মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ময়মনসিংহ ছেড়ে যাওয়া এনা পরিবহনের একটি বাসে স্ত্রী ও মেয়েকে তুলে দিতে এসেছেন জাহিদুল ইসলাম নামের একজন বেসরকারি চাকরিজীবী। তিনি বলেন, ঈদের সময় স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া খুব কঠিন। একদিকে পুরো রাস্তা জুড়ে যানজট, অন্যদিকে ঠিকমতো গাড়ির সিট পাওয়া যায় না তাই আগেই পরিবারের সদস্যদের পাঠিয়ে দিচ্ছি নিজ এলাকায়। আমার এখনো কয়েকদিন অফিস আছে, যদিও পরিবার আগে চলে গেলে আমার এই কয়দিন থাকা খাওয়ার সমস্যা তবুও ভোগান্তি এড়াতে পরিবারের সদস্যদের আগেই পাঠিয়ে দিচ্ছি।
মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে উত্তরবঙ্গের দিকে ছেড়ে যাওয়া দেশ ট্রাভেলস নামে একটি বাস কাউন্টারের সহকারী ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের দূরপাল্লার বাসের আজকের টিকিটসহ, ঈদের আগের দিন পর্যন্ত সব টিকিটই বিক্রি হয়ে গেছে আগেই। আজ শুধু যাত্রীরা আসছে এবং নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে রওনা হচ্ছে। তবে এখন অনেক চাকরিজীবী কর্মজীবীরা ঢাকা ছাড়ছে না। বরং তাদের পরিবারের সদস্যদের আগে পাঠিয়ে দিচ্ছে, আমাদের আজকের বাসগুলোতে এমন যাত্রী সংখ্যায় বেশি। মূলত ঈদের দুইদিন আগে সবাই যখন ঢাকা চলে যাবে ওই সময়টাতে সবচেয়ে বেশি ভিড় হবে।
এদিকে এনা পরিবহন, ন্যাশনাল পরিবহন, একতা পরিবহন, দেশ ট্রাভেলসহ অন্যান্য ভালোমানের বাসগুলোতে ঈদ উপলক্ষ্যে কোনো অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। তবে টাঙ্গাইল, জামালপুর, ময়মনসিংহ, শেরপুরগামী কিছু লোকাল কোয়ালিটির বাসে যাত্রীদের কাছ থেকে ঈদ বোনাসের নামে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে যাত্রীরা।
এ বিষয়ে বিনিময় নামে একটি বাসের সুপারভাইজার এরশাদ আলী বলেন, ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে না, তবে যাত্রীদের কাছ থেকে ঈদ বোনাস চাচ্ছি আমরা। যদি কেউ খুশি মনে ভাড়ার সঙ্গে আমাদের দেয় তাহলে নিচ্ছি, কেউ না দিতে চাইলে জোর করে নিচ্ছি না। আগের ভড়াতেই যাত্রীদের আনা নেওয়া করা হচ্ছে। তবে ঈদের দুই-তিন দিন আগ থেকে অতিরিক্ত যানজটের কারণে অল্প কিছু পরিমাণে ভাড়া বাড়তে পারে।