পাচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা

Any Akter
মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৪:০৩ অপরাহ্ন, ০৭ জুলাই ২০২৪ | আপডেট: ১২:২৫ পূর্বাহ্ন, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলা পাচগাঁও আলহাজ্ব ওয়াহেদ আলি দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদ নিয়ে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নিহত চেয়ারম্যান সুমন হালদার (৪৫) টঙ্গীবাড়ি উপজেলার পাচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান। রবিবার (৭ জূন) দুপুর ১:৩০ টার দিকে পাচগাঁও আলহাজ্ব ওয়াহেদ  আলী দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই ঘটনা ঘটে। 

জানা গেছে, রোববার সকাল হতে উপজেলার পাচগাঁও আলহাজ্ব ওয়াহেদ আলী দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচন চলছিল। দুপুর একটার দিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি পদে মনিরুজ্জামান দেওয়ান ৯ ভোট পেয়ে ভোট বিজয়ী হোন। পরাজিত প্রার্থী মিলনুর রহমান হালদার পান মাত্র দুই ভোট।

আরও পড়ুন: কুমিল্লা সীমান্তে ৫ কোটি টাকার ভারতীয় মোবাইল ডিসপ্লে জব্দ করেছে বিজিবি

পরাজিত প্রার্থী সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিলেনুর রহমান মিলন হালদারের সমর্থক নুর মোহাম্মদ হালদার নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান সুমন হালদারকে দায়ী করে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিলেন। এ সময় সুমন হালদার গালিগালাজ করতে নিষেধ করায় নূর মোহাম্মদ হালদার তাকে প্রত্যক্ষ দিবালোকে বুকের মধ্যে গুলি করলে, গুরুতর আহত হয় সুমন হালদার। পরে তাকে উদ্ধার করে টঙ্গিবাড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

এ সময় নূর মোহাম্মদ ও তার ভাই ভোলা হালদার দৌড়ে পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল হতে তার সহযোগী ম্যানেজিং কমিটির পরাজিত সভাপতি প্রার্থী মিজানুর রহমান হালদার, সওদাগর হালদার, কাউসার হালদার, নূর হোসেন হালদার সহ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।

আরও পড়ুন: কাপাসিয়ায় বিএনপি নেতা শাহ রিয়াজুল হান্নানের ব্যাপক গণসংযোগ

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মিজানুর রহমান মোল্লা বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে ফলাফল ঘোষণার পর ওই ফলাফলে মনিরুজ্জামান দেওয়ান বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। এতে পরাজিত প্রার্থী মিলন চেয়ারম্যানের সমর্থক নূর মোহাম্মদ হালদার এই পরাজয়ের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান সুমন হালদারকে দায়ী করেন এবং তাকে লক্ষ্য করে গুলি করলে সে গুরুতর আহত হয়। 

এ সময় স্থানীয় মিলন হালদার, তার ভাই সওদাগর হালদার, নূর হোসেন হালদার সহ আরো কয়েকজন নূর মোহাম্মদকে সহায়তা করেন। গুলি করে নূর মোহাম্মদ ও তার ভাই ভোলা হালদার পালিয়ে যান। 

এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ি থানা (ওসি) মোল্লা সোয়েব আলী বলেন, একটি স্কুল ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরাজিত প্রার্থীর লোকজন নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পরপরই ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে। পরে তাকে উদ্ধার করে টঙ্গীবাড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। মূল অপরাধীদের গ্রেফতারের সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।