ঈশ্বরগঞ্জে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তারেক রহমানের ভিত্তি প্রস্তর খুলে ফেলার অভিযোগ

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের আলীনগর কারিগরি ও বাণিজ্যিক কলেজে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে থাকা একটি ভিত্তি প্রস্তর ফলক খুলে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উচাখিলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নে অবস্থিত আলীনগর কারিগরি ও বাণিজ্যিক কলেজটি ১৯৯৯ সালে স্থাপিত হয়। নানা সমস্যা পেরিয়ে ২০০৬ সালে চার তলা বিশিষ্ট একটি ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (তৎকালীন যুগ্ম মহাসচিব) তারেক রহমান। অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের আমলে যোগদানকৃত প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল তারেক রহমানের সেই ভিত্তি প্রস্তর ফলকটি সরিয়ে কলেজের একটি কক্ষে লুকিয়ে রাখেন। তৎকালীন পরিস্থিতি নিয়ে কেউ মুখ না খুললেও ৫আগস্ট পরবর্তী পরিস্থিতিতে তারেক রহমানের সেই ভিত্তি প্রস্তর ফলকটি যথা স্থানে স্থাপন করার অনুরোধ করেন কলেজের অন্যান্য শিক্ষকগণ। এতে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল কর্ণপাত না করে আরো ক্ষিপ্ত হন। বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের বাইরে জানাজানি হলে উচাখিলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে দলীয় লোকজন ফলকটি বাথরুম থেকে উদ্ধার করেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরা তালায় ঘেরের আইলে সবজি চাষ, কৃষিতে সম্ভাবনার হাতছানি
আমিনুল ইসলাম বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ফলকটি খুলে লুকিয়ে রাখা হয়। দলীয় লোকজনকে সাথে নিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে। অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল ফলকটি যথা স্থানে লাগানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো তা লাগানো হয়নি। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ওই অধ্যক্ষের পদত্যাগ চাই।
অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল বলেন, আমি যোগদানের আগেই ফলকটি খুলে রাখা হয়েছিল যা আমি জানতাম না। ফলকটি যথা স্থানে আবারও লাগিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ধানের শীষের কান্ডারী হিসেবে আলোচনার শীর্ষে এইচ. এম. রহমত উল্লাহ পলাশ
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। আগামী সপ্তাহে তদন্ত শেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।