চুনারুঘাটে বিজিবির অভিযানে মাদকসহ ৭ লক্ষ টাকার ভারতীয় পণ্য আটক

Any Akter
আব্দুল জাহির মিয়া,হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২:০৩ অপরাহ্ন, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ৭:১১ পূর্বাহ্ন, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

চুনারুঘাটে সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাচালান ও মাদকদ্রব্যের বিস্তার রোধে প্রতিবারের মতো এবারও সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি)। এরই ধারাবাহিকতায় ১৬টি বিওপি কর্তৃক সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধে নিয়মিত টহল ও অভিযান কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে বিজিবি টহলদল কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে মালিকবিহীন অবস্থায় ৬,৮৮৯৭০  টাকা মূল্য মানের ভারতীয় শাড়ি, বিভিন্ন প্রকার আতশবাজি, মদ, গাঁজা এবং বাংলাদেশী মশার কয়েল আটক করছে।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ ও ২৬ এপ্রিল হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ শ্রীমঙ্গল, চুনারুঘাট এবং উপজেলার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় ৫ টি পৃথক অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখযোগ্য এই সাফল্য অর্জিত হয়। 

আরও পড়ুন: সাতক্ষীরা তালায় ঘেরের আইলে সবজি চাষ, কৃষিতে সম্ভাবনার হাতছানি

অভিযানের বিবরণ নিম্নরূপ: হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি) এর অধীনস্থ সিন্দুরখান, বাল্লা, চিমটিবিল,সাতছড়ি, হরিণখোলা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করার নিমিত্তে বিজিবি কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। এ সময় চোরাকারবারীরা টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে বর্ণিত মালামাল রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহল দল উক্ত স্থান তল্লাশি করে মালিকবিহীন অবস্থায় ১১৩ বোতল ভারতীয় মদ, ১১ কেজি গাঁজা, বিপুল পরিমানের ভারতীয় কাতান শাড়ী ও বিভিন্ন প্রকার আতশবাজি এবং বাংলাদেশী মশার কয়েল আটক করতে সক্ষম হয়।

এ বিষয়ে ৫৫ বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানজিলুর রহমান বলেন, “বিজিবি হচ্ছে সীমান্তের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সমাজকে সর্বদা মাদকমুক্ত রাখা। বিজিবি চোরাচালান ও মাদকের বিরুদ্ধে সবসময় কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে, যা দেশের যুব সমাজকে মাদকের করাল গ্রাস হতে রক্ষা ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বজায় রাখতে সহায়তা করে। হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন নিয়মিতভাবে সাহসিকতার সাথে চোরাচালান ও মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ধানের শীষের কান্ডারী হিসেবে আলোচনার শীর্ষে এইচ. এম. রহমত উল্লাহ পলাশ