সাতক্ষীরা সীমান্তে চামড়া পাচার রোধে কঠোর অবস্থানে বিজিবি

ঈদ পরবর্তী কোরবানিকৃত পশুর চামড়া পাচার রোধে সাতক্ষীরা সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে বিজিবি। বৃহস্পতিবার (০৫ জুন ২০২৫) বেলা ১২টায় সাতক্ষীরার ভোমরা আইসিপি সংলগ্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আশরাফুল হক। এসময় বিজিবির অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লে. কর্নেল মো. আশরাফুল হক বলেন, পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে পার্শ্ববর্তী দেশ হতে অবৈধভাবে গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করে দেশীয় খামারিরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য বিজিবি সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪০ কেজি গাঁজাসহ বরখাস্ত পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার
এছাড়াও, ঈদ-উল-আযহার দীর্ঘ ছুটিতে দেশের জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করতে পারে সে জন্য বিজিবি সদস্যরা সীমান্তের নিরাপত্তা বিধান, দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং ঈদ জামায়াত ইত্যাদির নিরাপত্তা বিধানে সদা সচেষ্ট ও তৎপর থাকবে।
সাম্প্রতিককালে সীমান্ত দিয়ে পুশইন প্রসঙ্গে লে. কর্নেল মো. আশরাফুল হক বলেন, পুশইন প্রতিরোধে বিজিবি সীমান্তে কঠোর নজরদারি ও টহল তৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সীমান্তবর্তী জনসাধারণকে সাথে নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে পুশইন করায় বিজিবি নিয়মিতভাবে বিএসএফের সাথে বিভিন্ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মৌখিক ও লিখিতভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে যৌথ টহল, নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশ ও সেনাবাহিনী একসাথে মাঠে
তিনি আরো বলেন, ভারত বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ কর্তৃক লোকজন পুশইন শুরু করলে সাতক্ষীরা সীমান্তে ২/১ বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি বেআইনি ও সীমান্ত প্রটোকল বিরোধী প্রক্রিয়ায় ভারত হতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে লোকজন পুশইন করা অবৈধ ও অগ্রহণযোগ্য বলে বিএসএফকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। বিএসএফ কর্তৃপক্ষ আটককৃত যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিককে তার সমস্ত নাগরিকত্বের প্রমাণপত্রসহ পরিচয় নিশ্চিত সাপেক্ষে বিজিবি এর নিকট হস্তান্তর করার ব্যাপারে একমত পোষণ করে।
বর্তমানে সাতক্ষীরা সীমান্তে কোন প্রকারের পুশ ইন হচ্ছে না উল্লেখ করে বিজিবি অধিনায়ক আরো বলেন, প্রতিপক্ষ বিএসএফ থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের নাগরিকত্বের প্রমাণ, পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য নথিপত্র প্রাপ্তির পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং আত্মীয়-স্বজনের সাথে কথা বলে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেলে তাদেরকে স্বীকৃত পদ্ধতিতে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে গ্রহণ করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে।