যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, নিহত ২৪
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাজুড়ে আবারও তীব্র বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এসব হামলায় অন্তত ২৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৮৭ জন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এই হামলাকে চলমান যুদ্ধবিরতির আরেকটি প্রকাশ্য লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে।
রোববার (২৩ নভেম্বর) এ তথ্য জানায় আল জাজিরা।
আরও পড়ুন: লেবাননে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে নতুন হামলা চালাল ইসরাইল
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার উত্তর গাজা সিটির একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে প্রথম হামলাটি চালায় ইসরায়েল। এরপর দেইর আল-বালাহ ও নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরেও বোমা বর্ষণ করা হয়। গাজা সিটির রিমাল এলাকায় ড্রোন হামলায় কমপক্ষে ১১ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন আল-শিফা হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রামি মোহান্না।
দেইর আল-বালাহতে একটি বাড়িতে হামলায় অন্তত তিনজন প্রাণ হারান, যাদের মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন। হামলার সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণের কথা জানান স্থানীয় বাসিন্দা খলিল আবু হাতাব। তিনি বলেন, পুরো এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। মনে হচ্ছিল কোথাও নিরাপদ নেই।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় বন্যা ও ভূমিধসে ৩১ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১৪
গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় জানায়, ১০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল অন্তত ৪৯৭ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এসব হামলায় নিহত হয়েছেন ৩৪২ জন বেসামরিক নাগরিক, যাদের বেশিরভাগই শিশু, নারী ও বৃদ্ধ।
তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনীর ধারাবাহিক হামলা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন ও চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন।
অন্যদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় দাবি করেছে, গাজায় ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামাসের এক যোদ্ধা সেনাদের ওপর হামলা করলে এর জবাবে অভিযান চালানো হয়েছে। তাদের দাবি—হামলায় পাঁচজন সিনিয়র হামাস সদস্য নিহত হয়েছে। তবে হামাস এসব দাবির বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিন হামলাগুলোর নিন্দা জানিয়ে হামাস অভিযোগ করে, ইসরায়েল মনগড়া অজুহাতে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করছে। তারা যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারকে দ্রুত হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে বলেছে—মধ্যস্থতাকারীদের এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে এবং ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি মানতে বাধ্য করতে হবে।





