চুয়াডাঙ্গায় দুই ধর্ষণ মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন
চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুটি ধর্ষণের মামলার দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে উভয় আসামিকে একলাখ টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জীবননগর উপজেলার মিনাজপুর গ্রামের পূর্বপাড়ার মৃত ফকির চান মন্ডলের ছেলে আব্দুল খালেক (৪৫) এবং আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদি গ্রামের ঈদগাহ্ পাড়ার ইব্রাহিম মন্ডলের ছেলে নাজমুল হক (২৯)।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে পার্কিং করা যাত্রীবাহী বাসে রহস্যজনক আগুন
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৮ জুন জীবননগরের মিনাজপুর গ্রামের পূর্বপাড়ার এক শিশু কন্যাকে ডালিম দেয়ার কথা বলে বাগানের ঝোপের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ওই শিশুর পিতা বাদি হয়ে আব্দুল খালেককে আসামি করে ঘটনার পরদিন জীবননগর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে জীবননগর থানার তৎকালীন উপ পরিদর্শক (এসআই) আকরাম হোসেন ২০১৫ সালের ৩০ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে একমাত্র আসামি আব্দুল খালেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
অপরদিকে, ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আলমডাঙ্গার বাড়াদি গ্রামের মীরপাড়ার এক বাড়িতে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্যও হুমকি দিয়ে যায় অভিযুক্ত ব্যক্তি। পরে ওই কিশোরী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর ওই বছরের ১৯ ডিসেম্বর কিশোরীর পিতা বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার একমাত্র আসামি নাজমুল হককে অভিযুক্ত করে ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন থানার তৎকালীন উপ পরিদর্শক (এসআই) খসরু আলম। মামলার স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে একমাত্র আসামী নাজমুল হককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: খুলনা ১ আসনে কৃষ্ণ নন্দী জামায়াতের প্রার্থী হতে পারে
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. শাহজাহান মুকুল জানান, পৃথক দুটি রায়ে ভুক্তভোগীর পরিবার সন্তুষ্ট। ধর্ষণের ঘটনায় দুটি রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।





