ছাত্রদের দাবিতে পটিয়া থানার ওসি প্রত্যাহার, আন্দোলনে উত্তাল চট্টগ্রাম

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, ০৩ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ৭:১১ পূর্বাহ্ন, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর। ছবিঃ সংগৃহীত
পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর। ছবিঃ সংগৃহীত

 বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চলমান কর্মসূচির মুখে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম শান্তু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওসি জায়েদ নূরকে পটিয়া থানা থেকে সরিয়ে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: সাতক্ষীরা তালায় ঘেরের আইলে সবজি চাষ, কৃষিতে সম্ভাবনার হাতছানি

এর আগে বুধবার (২ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার ইন্দ্রপুল এলাকায় অবরোধ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। দীর্ঘ সময় সড়ক অবরোধের কারণে উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়, যাত্রীদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে।

একই দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীরা বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীর জাকির হোসেন সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ধানের শীষের কান্ডারী হিসেবে আলোচনার শীর্ষে এইচ. এম. রহমত উল্লাহ পলাশ

ঘটনার সূত্রপাত ঘটে গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে, যখন পটিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দীপংকর দে (২৯)–কে আটক করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা। তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হলেও পুলিশ কোনো মামলা না থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করতে অস্বীকৃতি জানায়। বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দীপংকর দে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি। বরং পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে আন্দোলনকারী ছাত্রদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ চালায়, যাতে বেশ কয়েকজন আহত হন।

অন্যদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দীপংকর দে–কে আন্দোলনকারীরা মারধর করতে করতে থানায় নিয়ে যান এবং থানার ভেতরেই মিছিল করেন, যা আইনশৃঙ্খলার চরম লঙ্ঘন।

ওসি প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে প্রশাসন আপাতত উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা চালালেও আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন, শুধু একজন ওসিকে প্রত্যাহার করলেই চলবে না, দীপংকর দে এবং তাকে রক্ষার চেষ্টাকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

এ ঘটনায় চট্টগ্রামের রাজনৈতিক পরিবেশ আরও একবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বলে পর্যবেক্ষকদের অভিমত।