নরসিংদীতে বিএনপির দুই গ্রুপের গোলাগুলি, আহত ৭

Sanchoy Biswas
আশিকুর রহমান, নরসিংদী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৮:৫৮ অপরাহ্ন, ১৮ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১০:৫৭ অপরাহ্ন, ১৮ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

নরসিংদীর পাঁচদোনা মোড়ে ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও সিএনজি স্ট্যান্ড দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুইজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত সাত জন আহত হয়েছেন।

রোববার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সদর উপজেলার পাঁচদোনা মোড়ে (ঢাকা–সিলেট মহাসড়ক) এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। টানা সাড়ে ৩ ঘণ্টা পুলিশের সামনেই দফায় দফায় এই সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ রাত ১২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুন: নরসিংদীতে ১৭ মামলার আসামি গ্রেফতার, অস্ত্র–মাদক ও গানপাউডার উদ্ধার

সংঘর্ষে ৭ জনের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ২ জনের নাম জানা যায়। এরা হলেন, পাঁচদোনা এলাকার তাইজুদ্দিনের ছেলে হামিদ মিয়া (২৮) এবং বিল্লাল মিয়ার ছেলে হাসান মিয়া (২৮)। বাকি ৫ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার সন্ধ্যায় পাঁচদোনা মোড়ে অবস্থিত পাকিজা গ্রুপের ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিতে মোছাদ্দেকের এক কর্মীর উপর হামলা চালায় লালু মেম্বারের লোকজন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উভয় পক্ষের লোকজন মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন: পাথর লুট ঠেকাতে আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ারকে সিলেটে ডিসি নিয়োগ

উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্টের পর পাঁচদোনা মোড়ের সিএনজি স্ট্যান্ড, বাস কাউন্টার দখল, ফুটপাত থেকে চাঁদা আদায়সহ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পাঁচদোনা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি লালু মেম্বার ওরফে লাল মিয়া এবং স্থানীয় বিএনপির নেতা মোসাদ্দেক হোসেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। এ নিয়ে উভয় গ্রুপ এর আগেও একাধিকবার সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে জড়িয়ে ছিলেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, সংঘর্ষের খবর শুনেই পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।