বৃদ্ধা মাকে মারধর ও নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, ছেলে-পুত্রবধূসহ আটক ৫

Sadek Ali
‎‎গোলাম ফারুক, পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৫:২১ অপরাহ্ন, ৩১ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ৪:২৭ অপরাহ্ন, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

‎পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার হাঁপানিয়ার রামচন্দ্রপুর গ্রামে গর্ভধারিণী মা’কে মারপিটের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় ছেলে ও পুত্রবধুসহ ৫ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।

‎শনিবার (৩০ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে হাঁপানিয়া রামচন্দ্রপুর নিজ বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় বৃদ্ধার মেয়ে আম্বিয়া খাতুন বাদী হয়ে রাতেই সাঁথিয়া থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন।

আরও পড়ুন: কৃষক দল নেতা খন্দকার নাসিরের অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তারেক রহমানের কাছে মহিলা দলনেত্রীর আবেদন

‎আটককৃতরা হলেন— ছেলে নজরুল ইসলাম (৪০), পুত্রবধূ সোনালী খাতুন (৩৫), নজরুলের দুই শ্যালক মো: টিপু মিয়া (২৫) ও মো: মিনার হোসেন (৩০), শ্যালিকা মুর্শিদা খাতুন (২৮)।

‎ভাইরাল হওয়া ফেসবুক ভিডিও থেকে দেখা যায়, প্রথমে বৃদ্ধ শ্বাশুড়ি কাঞ্চন খাতুন (৭৫) কে পুত্রবধূ সোনালী মাটিতে ফেলে মারপিট করছে। দ্বিতীয় দফায় পুত্র নজরুল ইসলাম মাকে অনেকক্ষণ গলা টিপে ধরে। এক পর্যায় ছেলে মাকে তুলে মাটিতে আছাড় মেরে ফেলে দিয়ে লাথি মেরে হত্যার চেষ্টা করে। বৃদ্ধা মা চিৎকার করে কান্না করলেও ভিডিওতে কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। লোমহর্ষক এ ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কমেন্টে অমানুষ দাবি করে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে পার্কিং করা যাত্রীবাহী বাসে রহস্যজনক আগুন

‎সাঁথিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান জানান, বৃদ্ধ মাকে মারপিটের ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় উঠে। এমন সব অভিযোগে ছেলে ও পুত্রবধূসহ ৫ জনকে আটক করে নিয়ে আসছি। গত রাতে মেয়ে আম্বিয়া খাতুন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরের পর আদালতের মাধ্যমে পাবনা কারাগারে পাঠানো হবে।

‎সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিজু তামান্না বলেন, মাকে মারপিটের ঘটনা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে থানা পুলিশ শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে স্থানীয়রা সমস্যার সৃষ্টি করলে সেনাবাহিনীর টিম গিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় অভিযুক্তদের আটক করা হয়।