চবি ক্যাম্পাসে ভয়াবহ সংঘর্ষে আহত অন্তত ২২০ জন, চাকসু নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১৫ অপরাহ্ন, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৩:২৭ অপরাহ্ন, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের দেড় মাস আগে ক্যাম্পাস ও আশপাশে বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাস-সংলগ্ন জোবরা গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ২২০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থী।

সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে, যখন ভাড়া বাসার এক দারোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এক ছাত্রীকে মারধর করেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে জোবরা গ্রামে প্রবেশ করলে গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

আরও পড়ুন: বাকৃবি শিক্ষার্থীদের স্লোগান: ‘জীবন যাবে, তবুও হল ছাড়ব না’

সংঘর্ষে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, লাঠি, রড, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শিক্ষার্থীরা গুরুতর আহত হন। সহ-উপাচার্য ও প্রক্টরসহ কয়েকজন শিক্ষকও আহত হয়েছেন। রোববার দুপুরে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। পরে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্র ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, শিক্ষার্থীরা তাঁদের বাড়িঘর ও দোকানে ভাঙচুর চালিয়েছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের দাবি, স্থানীয় সন্ত্রাসীরা তাঁদের ওপর হামলা করেছে।

আরও পড়ুন: রূপসা সেতুর নিচ থেকে সাংবাদিক বুলুর লাশ উদ্ধার

চবিতে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আগামী ১২ অক্টোবর চাকসু নির্বাচন হওয়ার কথা। এর আগে এমন বড় সংঘর্ষে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই পরিস্থিতি এত ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গত পাঁচ বছরে চবিতে শিক্ষার্থী-স্থানীয়দের মধ্যে অন্তত ২৫ বার সংঘর্ষ ঘটেছে।