চুয়াডাঙ্গায় ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ১৬ তরুণ-তরুণী

Sadek Ali
সনজিত কর্মকার, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১:২৭ অপরাহ্ন, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৫:৪৩ অপরাহ্ন, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

মাত্র ১২০ টাকা সরকারি ফি দিয়ে ঘুষ, দালাল কিংবা সুপারিশ ছাড়াই পুলিশের চাকরি পেলেন চুয়াডাঙ্গার ১৬ জন তরুণ-তরুণী।

বুধবার রাতে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্সে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। 

আরও পড়ুন: বন্ধুর অনুষ্ঠানে গিয়ে ছাত্রলীগ সন্দেহে ৩৯ কিশোর আটক

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ খন্দকার গোলাম মওলা বিপিএম-সেবা, শতভাগ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে প্রার্থীদের নির্বাচিত করা হয়েছে। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আগামী দিনে ‘সেবার ব্রতে চাকরি’ এই মহান ব্রতে উজ্জীবিত হয়ে সততা, দেশপ্রেম এবং পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখার আহ্বান জানাই।

তিনি আরও জানান, নিয়োগের শুরু থেকেই বারবার প্রচারণা চালানো হয় এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনো দালাল, প্রতারক বা অবৈধ প্রভাবের সুযোগ নেই। স্থানীয় ডিস চ্যানেল, পত্রিকা, মাইকিং এবং ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচার চালিয়ে চাকরি প্রত্যাশীদের সতর্ক করা হয়। পুলিশে যোগদানের একমাত্র পথ হলো প্রার্থীর নিজের মেধা ও যোগ্যতা।

আরও পড়ুন: কক্সবাজারে দুর্বৃত্তের গুলিতে ৩ পুলিশ আহত, যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ আগস্ট সকাল ৮টায় পুলিশ লাইন্স মাঠে শুরু হয় নিয়োগ কার্যক্রম। প্রথম ধাপে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই, শারীরিক মাপ, শারীরিক সক্ষমতা ও অন্যান্য পরীক্ষা শেষে অনুষ্ঠিত হয় লিখিত পরীক্ষা। এতে অংশগ্রহণ করেন ২৮৪ জন চাকরি প্রত্যাশী তরুণ-তরুণী। পরীক্ষার ফলাফলে উত্তীর্ণ হন ৪৬ জন পুরুষ ও ৪ জন নারীসহ ৫০ জন প্রার্থী। 

পরবর্তীতে তারা মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। ধাপে ধাপে কঠোর যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে অবশেষে নির্বাচিত হন ১৪ জন তরুণ এবং ২ জন তরুণী। চূড়ান্তভাবে নিয়োগ বোর্ড ঘোষিত ফলাফলে ১৬ জন তরুণ-তরুণীর হাতে ধরা দেয় আজীবনের স্বপ্ন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য হওয়ার সুযোগ।

ফলাফলের সময় উপস্থিত ছিলেন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) মো. আহসান হাবীব, মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল করিমসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

ফলাফল ঘোষণার পর নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের চোখেমুখে ঝলমল করছিল অদম্য উচ্ছ্বাস। তারা জানান, নিজেদের মেধা ও যোগ্যতার মাধ্যমে দালাল বা অবৈধ প্রভাব ছাড়াই বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য হতে পেরে তারা গর্বিত ও আনন্দিত।