গাজীপুরে মাদক ব্যবসায়ী মা-ছেলের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর ও থানায় অভিযোগ

গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী ৫১ নং ওয়ার্ডের ২৭ খৈরতল এলাকায় মাদক ও ছিনতাইয়ের অভয়ারণ্য গড়ে ওঠায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। এলাকাকে সুন্দর ও বাসযোগ্য সমাজে রূপান্তরের লক্ষ্যে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে প্রায় তিনশত বাড়ির মালিক চিহ্নিত ছিনতাইকারী ও ২০ মামলার আসামি শাওন এবং তার মা কুখ্যাত মাদক সম্রাজ্ঞী শাহনাজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে থানায় গণস্বাক্ষর প্রদান করেন।
স্থানীয়রা জানান, বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদ ইতোমধ্যে এলাকায় মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। তিনি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় ফুটপাত উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করে এলাকায় চাঁদাবাজি বন্ধ করেছেন এবং মাদক নির্মূলে প্রশাসনকে সহযোগিতা করে আসছেন।
আরও পড়ুন: রায়পুরায় কাউকেই গ্রীন সিগন্যাল দেওয়া হয়নি বলে দাবি মনোনয়ন প্রত্যাশীদের
গণস্বাক্ষরের পর ১৫ সেপ্টেম্বর পুলিশ অভিযান চালিয়ে শাহনাজকে গ্রেপ্তার করে। অপরদিকে তার ছেলে শাওন টঙ্গী পূর্ব থানায় ছিনতাই-ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। তবে জামিনে মুক্তি পেয়ে শাহনাজ পুনরায় মাদক ব্যবসা শুরু করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে ভাঙারি ব্যবসায়ী নবীন হোসেনকে কুপিয়ে তার কাছ থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও ব্যাংকের এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নেয় শাহনাজ ও শাওনের সহযোগীরা। পরে উক্ত কার্ড ব্যবহার করে আরও ৭২ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়। এ ঘটনায় নবীন হোসেন টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অন্যায়ের প্রতিবাদ খুব কম লোকই করে, যারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করে তাদের কিন্তু সহযোগিতা করা উচিত আইন এবং প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার,
আরও পড়ুন: কুলাউড়ায় গ্রাম পুলিশদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক
অভিযোগ করে নবীন হোসেন বলেন,
“জামিনে বের হয়ে শাহনাজ আমাকে নিয়মিত হুমকি দিচ্ছে। তার ছেলে শাওন ছাড়া পেলে আবারও হামলা চালাবে, গুম-খুনের ভয় দেখাচ্ছে। পুলিশকে প্রমাণসহ টাকা উদ্ধারের আবেদন করলেও তারা আসামির রিমান্ড নেয়নি।”
তিনি এ বিষয়ে আদালতের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এদিকে শাহনাজ মাদক ব্যবসায় স্থানীয়দের বাধা এবং গণস্বাক্ষরের কারণে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও বার্তায় মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি হারুন অর রশিদ বলেন,
“মাদক ও ছিনতাইয়ের বিরুদ্ধে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে। খুব শিগগিরই আলামতসহ তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
অন্যদিকে ব্যবসায়ী নবীন হোসেনকে কুপিয়ে টাকার ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনাটির ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে স্থানীয় জনমনে চরম ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।