ফ্ল্যাট প্রতিশ্রুতির নামে প্রতারণা: সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি কারাগারে

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:০৯ পূর্বাহ্ন, ১৯ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১১:৫১ পূর্বাহ্ন, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. হামিদুল আলম মিলনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার (১৭ নভেম্বর) বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২–এ আত্মসমর্পণ করে তিনি জামিন আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করেন। একই সঙ্গে মামলার অন্য আসামি তার স্ত্রী শাহাজাদী আলমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশে হামিদুল আলমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪২০ ও ১০৯ ধারায় দায়ের করা প্রতারণা ও সহযোগিতার মামলার শুনানি শেষে এ সিদ্ধান্ত দেন বিচারক মেহেদী হাসান।

আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে পার্কিং করা যাত্রীবাহী বাসে রহস্যজনক আগুন

মামলার নথি থেকে জানা যায়, হামিদুল আলম ও তার স্ত্রী মিলে একটি ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে একজন শিল্প উদ্যোক্তার কাছ থেকে অর্থ নেন। পূর্বের আমমোক্তারনামা বাতিল করে তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে ‘মেধা এন্টারপ্রাইজ’-কে নতুন করে ক্ষমতাপত্র ইস্যু করা হয়। ওই ক্ষমতাপত্র অনুযায়ী ‘মেধা শাহ ক্যাসেল’ নামে ভবন নির্মাণের দায়িত্ব নেন মিলন।

অভিযোগে বলা হয়, প্রকল্পের একটি ফ্ল্যাট নির্দিষ্ট মূল্যে দেওয়ার বিষয়ে মিলন লিখিত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন এবং ঘটনাস্থলেই এক লাখ টাকা গ্রহণ করেন। পরে স্ত্রীকে সাক্ষী হিসেবে সই করতে বলা হলে তিনি অস্বীকৃতি জানান। এরপর প্রতিশ্রুতি মতো ফ্ল্যাট বা অর্থ ফেরত না দিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে বলে বাদীপক্ষ অভিযোগ করে।

আরও পড়ুন: খুলনা ১ আসনে কৃষ্ণ নন্দী জামায়াতের প্রার্থী হতে পারে

হামিদুল আলম দীর্ঘদিন পুলিশ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকলেও তার কর্মজীবন বিভিন্ন সময়ে সমালোচনার মুখে পড়ে। ২০২৩ সালে অসুস্থতার কথা বলে ছুটিতে থাকা অবস্থায় বগুড়া-১ আসনে তার স্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ার ঘটনা তদন্তে প্রমাণিত হলে, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।