ডেমরায় জমি অধিগ্রহণে কম মূল্য নির্ধারণে ফের মানববন্ধন

Sanchoy Biswas
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৭:১০ অপরাহ্ন, ১৯ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৩:১৬ অপরাহ্ন, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রামপুরা-আমুলিয়া-ডেমরা এক্সপ্রেসওয়ের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির মূল্য কম ধার্য করায় ফের মানববন্ধন করেছে ডেমরা থানাধীন আমুলিয়া মৌজাস্থ জমির মালিকেরা। তাদের দাবি, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্য বর্তমান বাজারদরের তুলনায় অনেক কম। তারা নতুন করে ২৮ একর জমি অধিগ্রহণেরও বিরোধিতা করছেন, যেখানে তারা মনে করেন ২০১৯ সালে অধিগ্রহণ করা জায়গাতেই কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকালে ডেমরা-রামপুরা সড়কের আমুলিয়া মেন্দিপুর এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে পার্কিং করা যাত্রীবাহী বাসে রহস্যজনক আগুন

এক্ষেত্রে নতুন করে অধিগ্রহণকৃত জমির মূল্য কম ধার্য করে ঢাকা জেলা প্রশাসন ৮ ধারায় চূড়ান্ত নোটিশ প্রদানের প্রতিবাদেই জমির মালিকেরা দ্বিতীয় দফায় মানববন্ধন করেছেন।

স্থানীয় জমির মালিক শরীফ ব্যাপারির নেতৃত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আবু বক্কর বেপারী, হাজী রুবেল বেপারী, তারেক ব্যাপারী, আনিস বেপারী, এমদাদ বেপারীসহ অন্যান্য জমির মালিকগণ।

আরও পড়ুন: খুলনা ১ আসনে কৃষ্ণ নন্দী জামায়াতের প্রার্থী হতে পারে

জমির মালিকেরা বলেন, রামপুরা-আমুলিয়া-মেন্দিপুর ডেমরা এক্সপ্রেসওয়ে নতুন করে জমি অধিগ্রহণে ঢাকা জেলা প্রশাসন থেকে ৮ ধারায় চূড়ান্ত নোটিশ প্রদান করেছেন, তা আমরা জমির মালিকেরা কোনক্রমেই মেনে নিতে পারছি না। আমরা এ নোটিশের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তারা বলেন, আমুলিয়া মৌজায় প্রতি শতাংশ জমির বর্তমান মূল্য ৫০ লাখ টাকা। কিন্তু অধিগ্রহণে প্রতি শতাংশ জমির মূল্য পাঁচ লাখ টাকা ধার্য করা হয়েছে, যা আমাদের চরম ক্ষতি সাধনের চেষ্টা। এই নোটিশ বহাল থাকলে আমরা ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হব। আমরা এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারি না এবং পারবোনা। আমাদের জমির ন্যায্য মূল্য না দিলে আমরা জমি দেবো না। এ ব্যাপারে আমরা জমির মালিকগণ ঢাকা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দৃষ্টি কামনা করছি। অন্যথায় আমরা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব।

তারা আরও বলেন, আমাদের দাবি না মানলে এক শতাংশ জমিও আমরা জমির মালিকরা দিতে পারব না।

এর আগে, ১১ নভেম্বর বিকালে স্টাফকোয়ার্টার হাতিরঝিল ও ডেমরা মহাসড়কে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ডেমরার কামারগোপ, পূর্বদক্ষিণ, রাজাখালী, নড়াইবাগ, খুলিয়া, দেইল্লা এলাকার ভূক্তভোগিরা।