বিচারপ্রার্থীর অধিকার নিশ্চিত করতে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে: চট্টগ্রাম চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট

Sanchoy Biswas
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশিত: ৩:২৮ অপরাহ্ন, ২১ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৯:৩২ পূর্বাহ্ন, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থায় বিচার প্রশাসন, নির্বাহী প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ একে অপরের পরিপূরক। মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আন্তরিকতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগকে একযোগে ও ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে বিচারপ্রার্থী মানুষের কল্যাণে নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। বিচারপ্রার্থীর অধিকার নিশ্চিতে স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সাথে মামলা নিষ্পত্তিতে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

গত বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সিএমএম আদালতের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্সে চট্টগ্রামের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মিজানুর রহমান এসব কথা বলেন। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল, মো. আবু বকর সিদ্দিক, মোহাম্মদ মোস্তফা ও নুসরাত জাহান জিনিয়া।

আরও পড়ুন: খুলনা ১ আসনে কৃষ্ণ নন্দী জামায়াতের প্রার্থী হতে পারে

চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসামি গ্রেফতারের ক্ষেত্রে সম্প্রতি সংশোধিত ফৌজদারী কার্যবিধি মোতাবেক ‘মেমোরেন্ডাম অফ অ্যারেস্ট’ কঠোরভাবে প্রতিপালন করার নির্দেশ প্রদান করেন। নিরপরাধ কোনো ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি থানার অফিসার ইনচার্জদের তদন্তকাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করার প্রতি সচেতন হওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি দ্রুত ও দক্ষতার সাথে প্রতিবেদন দাখিলের পাশাপাশি মামলার সাক্ষী উপস্থাপন নিশ্চিত করে তাদের নিরাপত্তা বিধান করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে কার্যকর ভূমিকা পালনের নির্দেশনা দেন।

অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার সভায় জানান, গত ১০ মাসে ৫৩২ জন আসামিকে প্রবেশন প্রদান করা হয়েছে। মামলার আলামত নিলামের মাধ্যমে ০১ কোটি ১৫ লাখ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা প্রদান করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে পার্কিং করা যাত্রীবাহী বাসে রহস্যজনক আগুন

মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মফিজুল হক ভূইয়া বলেন, আদালতের বিচারক, আইনজীবী, সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। কনফারেন্সে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাবৃন্দের চাহিদার প্রেক্ষিতে পূর্বের চেয়ে দ্রুত গতিতে মেডিকেল সনদ প্রদানের বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রতিনিধি ডাক্তার জুনায়েদ আহমেদ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।

চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উদ্যোগে আদালতের সম্মেলন কক্ষে গত বৃহস্পতিবার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল, মো. আবু বকর সিদ্দিক, মোহাম্মদ মোস্তফা ও নুসরাত জাহান জিনিয়া।

এছাড়া সিআইডি, পিবিআই, সিএমপি, সিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগ, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিনিধি, চমেক পরিচালকের প্রতিনিধি, ফরেনসিক মেডিসিনের ডাক্তার, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পূর্ব জোন, পরিবেশ অধিদপ্তর, র‌্যাবের প্রতিনিধি, শিল্প পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ প্রতিনিধি, নৌ পুলিশ প্রতিনিধি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য অংশীজন এবং চট্টগ্রাম মহানগর এলাকার ১৬ থানার অফিসার ইন-চার্জ ও পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের পরিদর্শকরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. মফিজুল হক ভূইয়া ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নেজাম উদ্দিন।

কনফারেন্সের শুরুতে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মিজানুর রহমান বিগত সভার সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরে বিচারাধীন মামলাসমূহের বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও সংশ্লিষ্ট থানাগুলোকে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।