গর্তে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদ আর বেঁচে নেই

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:২৮ অপরাহ্ন, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১১:৪৮ অপরাহ্ন, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজশাহীর তানোরে নলকূপের জন্য খনন করা গর্তে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদ আর বেঁচে নেই। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসক জানান, রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে শিশুটিকে আনা হলেও হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, রাত ৯টার দিকে প্রায় ৪০ ফুট গভীর গর্ত থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন: চাঁদপুরে যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগের প্রশংসনীয় উদ্যোগ

বুধবার দুপুরে উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট গ্রামে মায়ের সঙ্গে বাড়ির পাশের একটি খড়-ঢাকা জমি পার হওয়ার সময় হঠাৎ অরক্ষিত গভীর গর্তে পড়ে যায় সাজিদ। মা পেছন থেকে সন্তানের ‘মা মা’ চিৎকার শুনে ফিরে দেখেন, সাজিদ আর সেখানে নেই। খড় সরাতেই বেরিয়ে আসে বিপজ্জনক সেই গর্ত।

স্থানীয়রা জানান, গত বছর গভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য ওই জায়গায় প্রায় ১২০ ফুট গর্ত খনন করা হয়। পানি না পাওয়ায় পাইপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় মুখ খোলা রেখেই ফেলে রাখা হয়। দীর্ঘদিন ঢাকনা বা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা না থাকায় গর্তের মুখ আরও বড় হয়ে যায়, যা আজকের এই করুণ দুর্ঘটনার কারণ।

আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদে জেএসডি প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

ঘটনাস্থলে হাজারো মানুষ ভিড় করেন। গর্তের পাশে সারারাত কাটান শিশুটির মা, সন্তানকে জীবিত ফিরে পাওয়ার আশায় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। প্রাথমিকভাবে গর্তের ভেতর থেকে শিশুর সাড়া পাওয়া গেলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই আওয়াজ বন্ধ হয়ে যায়, যা উদ্ধারকর্মীদের উদ্বেগ বাড়ায়।

ফায়ার সার্ভিস গর্তের ভেতরে অব্যাহত অক্সিজেন সরবরাহ এবং নিখুঁত উদ্ধার প্রচেষ্টা চালায়। মেডিকেল টিম ও প্রশাসনও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। সন্ধ্যায় লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছিলেন, বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ হলেও জীবিত বা মৃত—যে অবস্থাতেই হোক, শিশু সাজিদকে উদ্ধারের আগ পর্যন্ত অভিযান চলবে।

অবশেষে উদ্ধারকৃত সাজিদকে মৃত অবস্থায় গ্রহণ করতে হলো।