অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সহযোগিতার জন্য সেনাবাহিনী প্রস্তুত: ওয়াকার-উজ-জামান

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, দেশ এখন নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য সেনাবাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ।মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে ‘অফিসার্স অ্যাড্রেস’ অনুষ্ঠানে সেনাসদস্যদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। এতে পদস্থ কর্মকর্তারা সরাসরি উপস্থিত ছিলেন, আর সব সেনা স্থাপনার কর্মকর্তারা ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।
আরও পড়ুন: এনবিআরের শীর্ষ ১৭ কর্মকর্তার সম্পদের হিসাব চাওয়ার সিদ্ধান্ত দুদকের
সেনাপ্রধান বলেন, “দেশের মানুষ এখন সেনাসদস্যদের দিকে তাকিয়ে আছে। তোমরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তাই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে এবং বাহিনীর চেইন অব কমান্ড অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। সেনাবাহিনী একটি পেশাদার সংগঠন। মাঠে দায়িত্ব পালনের সময় পেশাদারিত্ব দেখাতে হবে। প্রতিশোধমূলক কোনো কাজে জড়ানো যাবে না।”
আরও পড়ুন: শ্রেষ্ঠ বিমানসেনা ও এমওডিসিদের ট্রফি-সনদ প্রদান করলেন বিমান বাহিনী প্রধান
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে সেনারা মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন। আগে এত দীর্ঘ সময় মাঠে থাকতে হয়নি। তাই সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে নানা কটূক্তির বিষয়ে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, “এসব মন্তব্যে অখুশি হওয়ার কিছু নেই। যারা এসব করছে, তারা বয়সে আমাদের সন্তানের মতো। বড় হলে নিজেরাই ভুল বুঝতে পারবে এবং লজ্জিত হবে।”
নাম উল্লেখ না করে সেনাপ্রধান আরও জানান, একজন সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ তদন্তাধীন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগও তদন্তাধীন রয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, নৈতিক স্খলনের বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তবে মিডিয়া ট্রায়ালের ভিত্তিতে নয়, অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সেনাপ্রধান কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, “একজন সেনা কর্মকর্তাকে গড়ে তুলতে রাষ্ট্র বিপুল অর্থ ব্যয় করে। তাই কেউ যাতে অপরাধে জড়াতে না পারে, সে বিষয়ে আগেভাগেই খেয়াল রাখতে হবে। অপরাধে জড়িয়ে পড়ার পর তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দিলে সেটি রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় ছাড়া কিছু নয়।”