৫৩১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আতিউরসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
এননটেক্স গ্রুপের নামে প্রায় ৫৩১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারাকাতসহ মোট ২৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২০ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এই চার্জশিট অনুমোদিত হয়েছে বলে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শিগগিরই চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হবে।
আরও পড়ুন: দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার
মামলাটি ২০ ফেব্রুয়ারি দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. নাজমুল হুসাইন বাদী হয়ে দায়ের করেছিলেন।
তদন্তে আসামিদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, সাবেক ডেপুটি গভর্নর-২ আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, জনতা ব্যাংক পিএলসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবুল বারাকাত, সাবেক পরিচালক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, মো. ইমদাদুল হক, নাগিবুল ইসলাম দীপু, ড. আর. এম. দেবনাথ, মো. আবু নাসের, মিসেস সঙ্গীতা আহমেদ এবং সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. নিতাই চন্দ্র নাথ।
আরও পড়ুন: সেনাপ্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হলো ‘ওয়ার্ডক্যাম্প ঢাকা ২০২৫’
এছাড়া জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আব্দুছ ছালাম আজাদ, সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক আজমুল হক, সাবেক এজিএম অজয় কুমার ঘোষ, জনতা ভবন কর্পোরেট শাখার সাবেক ম্যানেজার মো. গোলাম আজম, ব্যাংকের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান, এসইও মো. এমদাদুল হক, সাবেক ডিএমডি মো. গোলাম ফারুক ও সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুকও আসামি হয়েছেন।
তালিকায় আরও রয়েছেন এননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ বাদল, মেসার্স সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, জনতা ব্যাংকের ডিজিএম কে. এম. সারওয়ার রশীদ, জনতা ভবন কর্পোরেট শাখার সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক আহমেদ শাহনূর হোসেন, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের এমডি মো. ইফতিখার-উজ-জামান, জনতা ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. এম. আশরাফ উদ্দিন খান, সাবেক ডিএমডি মো. গোলাম সারোয়ার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. নওশাদ আলী চৌধুরী।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে মিথ্যা রেকর্ড তৈরি করে জনতা ব্যাংক পিএলসির ভবন শাখা থেকে প্রায় ৫৩১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। সুদসহ এ অর্থ প্রায় ১,১৩০ কোটি ১৯ লাখ টাকায় দাঁড়ায়। এজাহারে আত্মসাতের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছিল ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৬ টাকা।
আসামিদের বিরুদ্ধে ঋণের অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে জালজালিয়াতি ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদক তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের সুপারিশ করেছে।
