দুমকিতে রোপা আমনের ব্যস্ততা, লক্ষ্যমাত্রা ৬,৬৪১ হেক্টর

পটুয়াখালীর দুমকিসহ দক্ষিণাঞ্চলে রোপা আমন রোপণে এখন ব্যস্ত সময় কাটছে কৃষকদের। উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে দুমকিতে ৬ হাজার ৬শ ৪১ হেক্টর জমিতে আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৫০০ হেক্টরে রোপণ শেষ হয়েছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে চারা রোপণ চলছে। কৃষকদের আশা, আগামী দুই–সপ্তাহে কাজ শেষ হবে। বৃষ্টির কারণে আমনে সেচ, সার ও শ্রম খরচ তুলনামূলক অনেক কম।
আরও পড়ুন: প্রবল বর্ষণে সুনামগঞ্জে সবজির ব্যাপক ক্ষতি, দিশেহারা কৃষক
জমি চাষ, আগাছা পরিষ্কার ও দলবদ্ধভাবে চারা রোপণে কৃষকেরা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করছেন। দেশিজাত ছাড়াও ব্রি ধান-৪৯, ৭৫, ৮০ এবং বিনা ধান-৭, ১৭, ২৬ চাষ হচ্ছে।
শ্রমিক সংকটে অনেকেই নিজে রোপণ করছেন। মুরাদিয়ার সন্তোষদির কৃষক বশির ফকির জানান, দুই বিঘায় নিজে চারা রোপণ করেছেন। লেবুখালীর আঠারোগাছিয়ার কৃষক আবু জাফর সিকদার বলেন, এক বিঘা রোপণে মজুরি ধরা হচ্ছে ২,৬০০ টাকা; দিনে ১–২ বিঘা, কখনও ৩ বিঘা পর্যন্ত রোপণ হয়।
আরও পড়ুন: অতিবৃষ্টিতে চুয়াডাঙ্গায় ৮৭২ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত
কোথাও কোথাও অতিবৃষ্টির জলাবদ্ধতায় বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চারা ঘাটতি দেখা দিয়েছে। রাজাখালীর হারুন দেওয়ান জানান, নিজের চারায় অর্ধেক জমি হবে; বাকিটা কিনে রোপণ করতে হবে। শ্রীরামপুরের বেশ কয়েকজন কৃষকেরও একই সমস্যা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, সব উপযোগী জমি আমনের আওতায় আনতে পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও মাঠ পর্যায়ে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। লাইন পদ্ধতিতে রোপণে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
তার আশা, উৎপাদন ভালো হলে কৃষকের আয় বাড়বে, স্থানীয় বাজারে ধান সরবরাহ বাড়বে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার হবে।