আমন ধান রোপণের জন্য বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা

আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় কৃষকেরা এখন রোপা আমন ধান রোপণের জন্য বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এই সময়ে কৃষকরা বীজতলা তৈরি, বীজ বপন এবং চারা পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। সঠিক সময়ে বীজবপন এবং চারার পরিচর্যা করা রোপা আমন ধান চাষাবাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
উপজেলায় রোপা আমন ধান চাষাবাদের জন্য কৃষকরা সাধারণত আষাঢ় মাস থেকে বীজতলা তৈরি করতে শুরু করেন। বীজতলা তৈরির জন্য প্রথমে উঁচু এবং পানি জমে না এমন জমি নির্বাচন করা হয়। এরপর সেই জমিতে বীজ বপন করা হয় এবং চারা গজানোর জন্য প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করা হয়। বীজতলার চারা সাধারণত এক মাস বা তার কিছু বেশি সময়ে রোপণের জন্য উপযুক্ত হয়। রোপা আমন ধান চাষাবাদের জন্য কৃষকরা সাধারণত শ্রাবণ মাস থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত জমিতে চারা রোপণ করে থাকেন। এই সময়ে জমি প্রস্তুত করা, চারা রোপণ করা এবং পরবর্তীতে চারার পরিচর্যা করা কৃষকদের প্রধান কাজ।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরা কুলিয়ায় তরমুজ চাষ করে কৃষক আবুল খালেক স্বাবলম্বী
কৃষকরা রোপা আমন ধান চাষাবাদের জন্য বেশ পরিশ্রম করেন এবং এই সময়ে তাদের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো।কৃষি অফিসের তত্ত্ব অনুযায়ী চলতি বছর আমন ধানের চারা উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৯০ হেক্টর। এর মধ্যে উফসী জাত ২৬০ হেক্টর, হাইব্রিড ১২০ হেক্টর, স্থানীয় চারা ১০ হেক্টর।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় , এ উপজেলার বীজতলা তৈরির জন্য বীজতলা পরিচর্যা ও আগাছা দমন করছেন। কিছু কৃষক তাদের জমিতে বলান করার জন্য জমি প্রস্তুত করছেন। কেউ জমির আইল কাটছেন আবার কেউ জমি চাষ করে নিচ্ছেন। ধানের ফলন বেশি পাওয়ার জন্য উচ্চ ফলনশীল উন্নত জাতের ধানের বীজ উৎপাদনে বীজতলার যত্ন নিচ্ছে। অধীক ফলনের জন্য বাজার থেকে ভাল জাতের বীজ কিনছেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় মাল্টা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিনের সঙ্গে মুঠোফোন আলাপ করলে তিনি জানান বলেন, এবার আবাদ বৃদ্ধির লক্ষে কৃষি প্রণোদনার আওতায় ইতিমধ্যে উপজেলায় ১২০০ কৃষকদের মাঝে ৫ কেজি ও ২০কেজি করে বিনামূল্যে রাসায়নিক সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি অফিসাররা কৃষকদের নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে ।